আলফানসো আম, ছবি - সৌজন্যে - উইকিমিডিয়া কমনস
ভারতের নানা কোণায় নানা স্বাদের আমের ফলন হয়। প্রতিটিই নিজের আলাদা স্বাদ, গন্ধের জন্য জনপ্রিয়। তাই যাঁরা আম খেতে চান তাঁরা অনেকেই বিভিন্ন সময়ে বাজারে আসা বিভিন্ন আমে রসনা তৃপ্ত করেন। আবার আম দিয়ে এই সময় নানা রকম খাবারও তৈরি করা হয়।
কেউ বাড়িতে বানান আমরস, কেউ আবার বানান আম কুলফি, কেউ আম আইসক্রিম, কেউ বা আমের আচার বানিয়ে রেখে দেন। কেউ আবার আমের নানা মিষ্টি তৈরি করেন। আমের লস্যিও দারুণ জনপ্রিয়।
হাতের কাছে যে আম পাওয়া গেল আর সেই আম দিয়েই এমন সুস্বাদু খাবার বানিয়ে ফেলার কথা ভাবলে কিন্তু ভুল হবে। তাতে সঠিক স্বাদ আসবেনা। এজন্য দরকার সঠিক আম বেছে নেওয়া।
যেমন আমরস বা আমের ফিরনি বানানোর জন্য সবচেয়ে ভাল আলফানসো আম। আবার কেউ যদি দই দিয়ে আমের সরবত বানিয়ে খেতে চান তাহলে হিমসাগরের জুড়ি নেই।
আমের লস্যি বানাতে আবার সবচেয়ে ভাল হয় গুজরাটের কেশর আম। অনেকে আম দিয়ে কুলফি বা আইসক্রিম বানাতে পছন্দ করেন। এগুলো বানানোর জন্য সবচেয়ে ভাল দক্ষিণ ভারতের সফেদা বা বেঙ্গনপল্লি আম।
আমের সময় আমের আচার বানিয়ে অনেকে বাড়িতে রেখে দেন। অনেকে হাতের কাছে পাওয়া কাঁচা আম দিয়ে আচার বানান। তবে আমের আচার বানানোর জন্য সবচেয়ে ভাল দশেরি আম।
আম পোড়ার সরবত বা আমের স্যালাড বানানোর জন্য আবার আমের দারুণ স্বাদ আর অল্প টক হওয়া জরুরি। এজন্য এগুলো বানাতে প্রথম পছন্দ হওয়া উচিত দক্ষিণ ভারতের তোতাপুরি আম।