Lifestyle

ব্লু জোনস, সুস্থভাবে দীর্ঘজীবন যাপন করতে চাইলে থাকতে হবে বিশ্বের এই ৫টি জায়গায়

অনেকেই চান সুস্থ শরীরে দীর্ঘজীবন যাপন করতে। এটা যদি সত্যিই চান তাহলে গিয়ে থাকতে হবে বিশ্বের ৫টি জায়গায়। এই ৫টি জায়গাকে বলা হয় বিশ্বের ব্লু জোনস।

পৃথিবীর মানচিত্রে এমন ৫টি মাত্র জায়গা রয়েছে যেখানকার অধিবাসীরা সুদীর্ঘ এবং সুস্থ জীবন যাপন করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে দেখা গেছে এই জায়গার বাসিন্দারা বাকি বিশ্বের মানুষের গড় আয়ুর তুলনায় দীর্ঘায়ু হন। আর তা হয় ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেশি।

জাপানের আকিনাবা, ইতালির সার্ডিনিয়া, কোস্টারিকার নিকোয়া দ্বীপ, গ্রিসের ইকারিয়া দ্বীপ এবং আমেরিকার লোমা লিন্ডা, এই জায়গাগুলির মধ্যে পড়ে। এই ৫ জায়গাকে একত্রে ব্লু জোনস বলা হয়। খাদ্যাভ্যাস ছাড়াও এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘজীবনের রহস্য লুকিয়ে রয়েছে বিশেষ জীবনদর্শনের মধ্যে।

আকিনাবাতে স্মার্টফোনের নোটিফিকেশনের বদলে সকালের সূচনা হয় ‘ইকিগাই’ দিয়ে। ইকিগাই-এর অর্থ জীবনের সঠিক উদ্দেশ্য খুঁজে বের করা। প্রতিটি মানুষেরই বেঁচে থাকার নির্দিষ্ট কারণ থাকে। বাগান পরিচর্যা কিংবা প্রতিবেশিকে সাহায্য করার মাধ্যমেও শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।

ইতালির সার্ডিনিয়ার বাসিন্দারা প্রতিদিনের খাবারে স্বল্প মাত্রায় রেড ওয়াইন এবং জলপাইয়ের তেল যোগ করেন। সবুজ শাকসবজি যুক্ত ভূমধ্যসাগরীয় ডায়েটেই তাঁরা অভ্যস্ত। সেখানকার বয়স্ক মানুষরা প্রতিটি আহারের সঙ্গেই তাজা সবজি এবং ফল খেয়ে থাকেন। তাঁরা সপ্তাহে মাত্র একদিন মাংস খান। মিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-এর রিপোর্টে জানা গেছে এই খাদ্যাভ্যাসের ফলে ৩০ শতাংশ অবধি খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল মানুষের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

গ্রিসের ইকারিয়াতে সকালের চায়ে থাইম, রোজমেরির মত ভেষজ মেশানো হয়। একে ‘ন্যাচারাল অ্যান্টি ইনফ্লেমেট্রি’ বলা হয়। ফলে সারা পৃথিবীতে গ্রিসেই সবচেয়ে কম মানুষ ডিপ্রেশনে ভোগেন। আর ডিমেনশিয়ার মত অসুখ গ্রিসে প্রায় নেই বললেই চলে।

লোমা লিন্ডার বাসিন্দাদের কাছে শনিবার মানেই ‘রেস্ট ডে’। ওইদিন তাঁরা প্রকৃতির মাঝে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। সবকটি ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে সকলেই নিজের কাজ নিজে করেন।

প্রত্যেকেই পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, প্রতিবেশির সঙ্গে মিলেমিশে জীবন কাটান। সামাজিক স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ব্লু জোনসের এই মডেলের সঙ্গে বিশ্বের ব্যস্ত শহরগুলিকে পরিচয় করাতে চায়।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *