এ যেন অন্য দোল, মাসের শেষে সেই রং খেলায় মাতবে ভূস্বর্গ
মার্চ মাস মানেই ভারতীয়দের রংয়ের উৎসব। বসন্তে রঙিন প্রকৃতির সঙ্গে রং বাহারে মেতে ওঠেন দেশবাসী। এদিকে মাসের শেষে অন্য এক রং খেলায় মেতে উঠবে ভূস্বর্গ।

ফাগুন লেগেছে বনে বনে। রাঙা হাসিতে মেতেছে শিউলি,পলাশ। শীত শেষে বসন্তের ছোঁয়ায় প্রকৃতি মেতে উঠেছে অগুন্তি রংয়ের শৃঙ্গারে। প্রকৃতির রংয়ে রেঙে ওঠে মানুষের মনও। রংয়ের খেলায় মেতে ওঠেন আপামর মানুষ। দোল উৎসবে মাতোয়ারা হয় বঙ্গ জীবন।
মার্চ মাস মানেই যেন রংয়ের বাহার। দোল বা হোলির দিন নয়, বরং মার্চ মাসের শেষে অন্য রং খেলায় মেতে উঠতে চলেছে ভূস্বর্গ। শ্রীনগরের বিখ্যাত ডাল লেকের পাশে জবরবন পর্বতের পাদদেশে রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান।
যেখানে টিউলিপ ফুলের রংয়ের ভুবনভোলা রূপ যে কোনও মানুষের মন ভাল করে দিতে পারে। প্রতিবছরই বসন্তে এই বাগান টিউলিপ ফুলে ভরে যায়। যা দেখতে বহু পর্যটক ভিড় জমান এই সময়ে।
এবার মার্চ মাসের শেষে সেই টিউলিপ বাগান খুলে যাচ্ছে সর্বসাধারণের জন্য। প্রতিবছরের মত এবারও এই টিউলিপ বাগানে রয়েছে বিশেষ চমক। এবার ২টি ভিন্ন ধরনের টিউলিপ ফুল দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা।
ফলে সাকুল্যে ৭৪ রকম টিউলিপ ফুল দেখার সুযোগ পাবেন তাঁরা। ৫৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই বাগানে সারি দিয়ে টিউলিপ ফুটে থাকে। এবার মোট ১৭ লক্ষ টিউলিপ ফুটবে বাগান জুড়ে। রংয়ে রংয়ে ভরে উঠবে চারধার।
শুধু টিউলিপ বলেই নয়, তার সঙ্গে বসন্তে এ বাগানে ড্যাফোডিল, মুসকারি, হায়াসিন্থ, সাইক্ল্যামেন ফুলের বাহার পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা। ২০০৭ সালে এই বাগানটি তৈরি হয়েছিল।
নেদারল্যান্ডস থেকে আনা হয় ৫০ হাজার টিউলিপ ফুলের চারা। তারপর যত্ন করে তৈরি হয় এই বাগান। যা এখন এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান হিসাবে পরিচিত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা