চকোলেট, প্রতীকী ছবি
মায়া সভ্যতার হাত ধরেই চকোলেট খাওয়ার সূত্রপাত। খ্রিস্টের জন্মের আনুমানিক ৫০০ বছর আগে মায়া সভ্যতার সঙ্গে যুক্ত মানুষজন চকোলেট পান শুরু করেন। কারণ সেই সময় চকোলেট বার হতনা।
চকোলেট ছিল একধরনের ঘন পানীয়। যা তৈরি হত কোকোয়া, জল, ভুট্টার আদা এবং লঙ্কা বা মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে। এগুলো গুলে একটি ঘন পানীয় তৈরি করা হত। তারপর তা ঠান্ডা ঠান্ডা পান করা হত। যা খেতে হত একাধারে একটু তেতো এবং ঝাল।
এভাবেই চকোলেট খাওয়া চলছিল দিনের পর দিন ধরে। বহু শত বছর ধরেই এভাবে চকোলেট পান চলে। ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের আশপাশে প্রথম কোকোয়া বিন নিয়ে আসা হয় ইউরোপে।
ইউরোপে আসার পরও তার স্বাদ বদলায়নি। কারণ চকোলেট ওভাবে খাওয়ার রীতিই জেনে তা ইউরোপে নিয়ে আসা হয়েছিল। স্পেনে আসার পর তা দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। সেখানে চকোলেটের এই আদি স্বাদ নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। বদলে ফেলা হয় স্বাদ।
স্পেনের উচ্চশ্রেণির মানুষের জন্য চকোলেট হয়ে গেল ঝাল নয় বরং মিষ্টি। যা এতদিন ঠান্ডা এবং ঝাল খাওয়া হত, তা তখন গরম এবং মিষ্টি স্বাদে খাওয়া শুরু হল।
তবে চকোলেট তখনও এক পানীয় হিসাবেই পরিচিত হত। কোনও বার নয়। তাই এখন যে চকোলেট সকলে খান তা মিষ্টি হলেও একটা বড় সময় কিন্তু চকোলেটে লঙ্কা বা মরিচ মিশিয়েই খাওয়া হত।