Lifestyle

এখানে থাকতে গেলে খালি পায়ে জীবন কাটাতে হবে, জুতো পরলেই শাস্তি

এদেশে আশ্চর্যের শেষ নেই। যেমন একটি গোটা জনপদ খালি পায়ে জীবন কাটিয়ে চলেছে। এখানে জুতো, চটি কিছু পায়ে দিলেই পড়তে হবে শাস্তির মুখে।

Published by
News Desk

এদেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরলে যত আশ্চর্যের সম্মুখীন হতে হবে তা লিখতে গেলে একের পর এক মোটা মোটা বই তৈরি হতে থাকবে। কত নিয়ম, কত রীতি, কত প্রথা যে আজও সেই অংশের মানুষ মেনে চলেন তা এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে চমক দিলেও তা এক বহমান সত্য।

যেমন এদেশেই এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে কেউ জুতো পরেননা। খালি পায়ে থাকতে হয়। খালি পায়েই জীবন কাটাতে হয় এ গ্রামের মানুষদের।

গ্রাম থেকে বেরিয়ে গেলে অবশ্য তাঁরা জুতো পরতেই পারেন। তবে সে জুতো গ্রামে ঢোকার আগেই ছেড়ে গ্রামে প্রবেশ করতে হয়। যেমন করতে হয় এই প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা পাহাড়ি গ্রামে ঘুরতে আসা মানুষজনকে।

তাঁদেরও গ্রামে ঢুকতে গেলে গ্রামের বাইরেই জুতো খুলে তবে গ্রামে প্রবেশ করতে হয়। জুতো পরে গ্রামে ঢুকলে নির্দিষ্ট শাস্তির মুখেও পড়তে হবে যে কাউকে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এ নিয়মে নড়চড় হয়না।

তামিলনাড়ুর কোদাইকানাল এক পরিচিত পর্যটনস্থল। সেখান থেকে কিছুটা দূরেই পাহাড়ে কিছুটা উঠে ভেল্লাগাভি গ্রাম। এই গ্রামে পৌঁছনোর পথে পাহাড়, জঙ্গল আর উপত্যকা মুগ্ধ করে দিতে পারে যে কাউকে।

এখানে সবুজ তার রূপ বদল করতে থাকে। পাহাড়ি জঙ্গলের পথে ট্রেক করেই পৌঁছতে হয় এখানে। কোথাও পাথরের ওপর দিয়ে হাঁটা, তো কোথাও পাথরেই সিঁড়ি মত করা। সেই বেয়ে উপরে ওঠা।

এ গ্রামে কোনও পাকা রাস্তা নেই। প্রকৃতির দানে যে পথ তাই এখানকার মানুষের চলার উপায়। গ্রামে প্রবেশের মুখেই রয়েছে একটি মন্দির। তার আগেই জুতো ছেড়ে খালি পায়ে এগিয়ে যেতে হয়। তারপর গ্রামে যতক্ষণ বা যতদিনই থাকুন না কেন জুতো পরার উপায় নেই।

কফি আর অ্যাভোকাডো ফল হল এ গ্রামের মানুষের প্রধান কৃষিজ ফসল। যা তাঁদের বেচার জন্য পাহাড় থেকে হেঁটে নামতে হয়। পারিবারিক প্রয়োজন মেটাতেও তাঁদের পাহাড় ধরে নামা ওঠা করতেই হয়।

Share
Published by
News Desk
Tags: Lifestyle