স্বামী ভাড়া করছেন এ দেশের মহিলারা, পিছনে রয়েছে অবাক করা কারণ
বিয়ে করে স্বামী নয়, এ দেশের মহিলারা এখন স্বামী ভাড়া করছেন আর প্রেম করতে যাচ্ছেন অন্য দেশে। পিছনে রয়েছে অবাক করা কারণ।
বিয়ের পর নারীর জীবনে স্বামী এবং পুরুষের জীবনে স্ত্রী নামে ২ সম্পর্ক যুক্ত হয়। কিন্তু বিয়ে না করেও স্বামী পেতে স্বামী ভাড়া করছেন এক দেশের মহিলারা। স্বামী ভাড়া করার রীতিমত হিড়িক পড়ে গেছে।
পুরুষদের সঙ্গে প্রেম করার হলে, সম্পর্ক গড়ার হলে তাঁদের অনেকেই দেশের বাইরে পাড়ি দিচ্ছেন। আশপাশের দেশে খুঁজে নিচ্ছেন বয়ফ্রেন্ড। কিন্তু স্বামী ভাড়া কেন? বিয়ে করলেই তো হয়!
ইউরোপের দেশ লাটভিয়ায় নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেকটাই বেশি। ফারাক ১৫ শতাংশের ওপর। ইউরোপের অন্য অনেক দেশেই নাগরিকের সংখ্যা কম। কিন্তু সেখানে নারী পুরুষের অনুপাত এতটা ভয়ংকর নয়।
লাটভিয়ায় তাই অধিকাংশ কাজের জায়গায় মহিলাদের সংখ্যা নজর কাড়ে। অনেক অফিসে তো পুরুষ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়। এক্ষেত্রে ঘরে বাইরে কাজ সামাল দিতে হিমসিম খান মহিলারা। তাই লাটভিয়ায় এখন ১ ঘণ্টার স্বামীর খুব চাহিদা।
১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময়ের জন্য স্বামী ভাড়া করছেন মহিলারা। তাঁদের দিয়ে সেই সময় বাড়ির নানা কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। সে রং করা হোক, জিনিসপত্র সাজানো হোক, কাঠের কাজ হোক বা ঘর সাফ করা হোক। এজন্য ভালই খরচও করছেন তাঁরা।
লাটভিয়ার একজন পুরুষ বহু মহিলার কাছ থেকেই বিয়ের প্রস্তাব পান। বিয়ে তো একজনের সঙ্গেই হতে পারে। তাই লাটভিয়ার পুরুষদের বিয়ের পরও বহু লাটভিয়ান মহিলা অবিবাহিত পড়ে থাকেন। তাঁরা এখন লাটভিয়ার আশপাশের দেশগুলিতে গিয়ে প্রেম করছেন। পুরুষ বন্ধু খুঁজে নিচ্ছেন।
লাটভিয়ায় পুরুষের সংখ্যা এতটা কম হওয়ার কারণ তাঁদের আয়ুষ্কাল। এ দেশের পুরুষরা ধূমপানে আসক্ত। তাছাড়া তাঁদের অনেকেই মোটা বা স্থূলকায়। এই সমস্যার কারণে তাঁদের আয়ু বেশিদিন হয়না।

পুরুষের চাহিদা তাই লাটভিয়ায় প্রবল। উল্টে পুরো দেশটাতেই নারীর প্রবল আধিক্য। বিয়ে করতে চাইলেও লাটভিয়ার বহু মহিলাই লাটভিয়ার পুরুষ খুঁজে পান না। দ্যা নিউ ইয়র্ক পোস্ট সংবাদমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর এখন বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে খবরটি শোরগোল ফেলে দিয়েছে।