World

শীতে এখানে তাল তাল রত্ন শোভা উঁকি দেয় বরফের খাঁজে

শীতকাল নামার অপেক্ষা। ঠান্ডায় বদলে যায় এখানকার রূপ। বরফের খাঁজে খাঁজে প্রকৃতির খেয়ালে উঁকি দিতে থাকে রত্নের ভান্ডার।

পান্না নামে বহুমূল্য রত্নটি সাধারণভাবে সবুজ হয়। তবে সে সবুজের আবার নানা ধরন হয়। যার একটি হল ফিরোজা সবুজ। ফিরোজা একটি বিশেষ ধরনের সবজে রং। যাকে ইংরাজিতে টার্কয়েজ বলা হয়। এ রং সকলেরই পরিচিত।

এখানে সেই রংয়ের রত্ন শোভা ঝলসে ওঠে দিগন্ত বিস্তৃত বরফের খাঁজে খাঁজে। তবে তা হয় একমাত্র শীতকালেই। শীতে যখন শূন্যেরও অনেক নিচে নেমে যায় পারদ, তখন এই বিখ্যাত হ্রদের উপরিভাগ পুরু বরফে ঢেকে যায়।

সেই বরফের খাঁজে খাঁজে চোখ ঝলসানো রূপ নিয়ে কীভাবে যেন জন্ম নেয় এই ফিরোজা রংয়ের রত্নের শোভা। যা দেখার জন্য বহু পর্যটক ঠান্ডা উপেক্ষা করেও এখানে হাজির হন।

রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ হল বিশ্বের গভীরতম হ্রদ। আবার বৈকালই হল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ও স্বচ্ছতম হ্রদ। স্বাদুজলের হ্রদের মধ্যে বৈকাল সবচেয়ে বড়ও। তাই ভূগোল বই থেকে জেনারেল নলেজ বই, সর্বত্র বৈকাল হ্রদের কথা জানাই যায়।


যেটা জানা বড় একটা যায়না তা হল এই হ্রদ যখন শীতের সময় জমে যায়। তখন বৈকালের উপরিভাগ জুড়ে বহু বহু দূর পর্যন্ত কেবল সাদা স্তরই দেখা যায়না।

এই সাদা বরফের খাঁজে খাঁজে চাঁই চাঁই ফিরোজা রংয়ের রত্নের শোভা চোখ ঝলসে দেয়। তবে সেগুলি আদপে রত্ন নয়। বরফ জলে এমন এক রং জমাট বেঁধে এই আজব প্রকৃতির খেলাকে তুলে ধরে সকলের সামনে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button