Lifestyle

চুম্বনের শুরু ২ কোটি বছর আগে, বিশ্বের প্রথম চুম্বনের হদিশ পেলেন বিজ্ঞানীরা

ভালবাসায় চুম্বনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রেমের পরশ হোক কিংবা শিশুর গালে আদুরে ছোঁয়া বোঝাতে চুমুর কোনও বিকল্প হয়না। বিশ্বের প্রথম চুম্বন সম্বন্ধে এবার জানতে পারলেন বিজ্ঞানীরা।

মানুষ এবং মানুষের মত আচরণকারী সব প্রাণিই নাকি চুমু খেয়ে তাদের ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে নিবেদন করে প্রেম। বোঝায় তাদের অনুভূতি। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকতে পারে সবকিছুরই যখন শুরু থাকে তাহলে চুমুরও নিশ্চয়ই সূচনাকাল রয়েছে।

উত্তরটি হল হ্যাঁ। পৃথিবীতে চুমুর সূচনা আজ নয় বরং হয়েছিল প্রায় ২ কোটি বছর আগে। আর সেটাও কিন্তু কোনও মানুষ উদ্ভাবন করেনি। চুমুর সৃষ্টি হয়েছিল গ্রেট এপ-দের মধ্যে। গবেষকেরা দাবি করেছেন মানুষের পূর্বপুরুষ তথা শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং, গোরিলা, এরাই প্রথম চুমু খাওয়া শুরু করেছিল।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফ্লোরিডা ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকেরা চুমুর সূচনাকাল নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় ‘ইভোলিউশন অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়ার’ জার্নালে।

মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণি রয়েছে যারা চুমুর মত আচরণ করে। তবে বাস্তবে চুমুর সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। অনেক প্রাণিই আক্রমণের উদ্দেশ্যে কিংবা খাবার মুখে তুলতেও চুমুর মত মুখভঙ্গি করে। আবার এমন চুমুও হয় যাতে যৌনতার কোনও ছোঁয়া থাকেনা।

গবেষকেরা তাই স্থির করেন যেখানে ২টি প্রাণি পরস্পরের ঠোঁট ভালবেসে স্পর্শ করছে, সেগুলিকেই চুমু বলে ধরা হবে। তাঁরা মূলত গ্রেট এপ-দের নিয়েই গবেষণাটি চালান। এর জন্য তাঁরা সংখ্যাতত্ত্বের একটি বিশেষ মডেলের সাহায্যও নেন।

গবেষণাপত্র থেকে কবে চুমু খাওয়া শুরু হয়েছিল তা জানা গেলেও চুমুর আবির্ভাবের কারণ সম্পর্কে গবেষকেরাও কোনও তথ্য দিতে পারেননি। তবে তাঁরা আশা করছেন তাঁদের এই গবেষণাটি চুমুর আবির্ভাবের কারণ সম্পর্কে জানার জন্য নতুন রাস্তা দেখাতে পারে। খবরটি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *