Kolkata

দাপট কিছুটা কমলেও বাজি কিন্তু পুড়ল

পুরোপুরি স্তব্ধ করা গেলনা আতসবাজি পোড়ানো। কালীপুজোর রাত যতই বেড়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকেই টুকটাক শব্দ বাজির শব্দ কানে পৌঁছেছে সকলের।

Published by
News Desk

কলকাতা : কালীপুজো ও আলোর উৎসব দীপাবলিতে আতসবাজির রোশনাই প্রতি বছরের চেনা ছবি। এই আলোর উৎসব যেন বাজির রোশনাই না হলে পূর্ণই হয়না। কিন্তু এবার করোনার জন্য বাজি পোড়ানো এ রাজ্যে নিষিদ্ধ করেছে আদালত।

আদালতের নির্দেশে তাই বাজি বিক্রিও ছিল বন্ধ। কিন্তু কালীপুজোর রাতে শহর থেকে গ্রাম, বাজি যে একদমই পুড়ল না, এমনটা হল না। পুলিশ তৎপর থাকলেও লুকিয়ে চুরিয়ে বাজি সেই পুড়ল। তবে তার যে দাপট প্রতি বছর থাকে, সেটা হল না।

কলকাতা বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে সন্ধে নামার পর কিছু বাজির শব্দ সারাক্ষণ কম বেশি কানে এসেছে। হয় কারও কাছে বাজি আগে থেকেই মজুত করা ছিল। আগের বছরের বাজিও অনেকে কিছুটা রেখে দেন। তাও থাকতে পারে।

আবার কোথাও থেকে লুকিয়ে চুরিয়ে কেনাও হয়ে থাকতে পারে। তবে বাজি পুড়েছে। শব্দ বাজিও পুড়েছে। শহরের চেয়ে গ্রামে বাজি পুড়েছে বেশি। ধরপাকড়ের প্রবণতাও গ্রামের চেয়ে শহরের দিকেই বেশি দেখা গেছে। গ্রামাঞ্চলে বাজি পুড়েছে অনেকটাই।

আলোর উৎসবে তাই বাজি একদমই পুড়ল না, এমনটা হল না। তবে অনেকেই আবার আদালতের নির্দেশের কথা মাথায় রেখে এবার বাজি বর্জন করেছেন।

বড়রা মানিয়ে নিতে পারলেও সমস্যা হয়েছে ছোটদের নিয়ে। তাদের কাছে আদালতের নির্দেশ বিষয়টা পরিস্কার নয়। কিন্তু বাজি পোড়ানোর সুযোগ নষ্ট হচ্ছে আর তা আবার আসবে এক বছর পর এটা অনেক শিশুই মেনে নিতে পারেনি। ফলে তাদের মন এদিন খারাপ হয়েছে।

বাড়িতে বারবার বলেও মেলেনি বাজি। তাই বাড়ির বড়দের প্রতিও তাদের রাগ ছিল যথেষ্ট। বোঝানোর চেষ্টা করেও অনেক ক্ষেত্রেই হাল ছেড়েছেন বড়রা।

করোনা নিয়ে শিশুরা এমনিতেই দীর্ঘদিন গৃহবন্দি। তার মধ্যে উৎসবের আনন্দটা উপভোগ করতে না পেরে তাদের বেজায় মন খারাপ।

এবার বাজি কম পুড়লেও আলোর রোশনাই কিন্তু নজর কেড়েছে। সে অনেকে বাড়ি যেমন আলো দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন, তেমনই বিভিন্ন এলাকাতেও আলোর রোশনাই ছিল নজরকাড়া।

পুজো উপলক্ষে অনেক জায়গাই আলো দিয়ে সাজানো হয়েছিল। অনেকে এবার বাজি পোড়াতে না পেরে সারা বাড়ি রঙিন আলোয় ভরে দিয়েছেন।

Share
Published by
News Desk

Recent Posts