চারিদিকে ঝুলছে বক্ষবাস, অজানা রহস্যে ঘেরা ব্রা টেম্পল
অজস্র অন্তর্বাস দেখে মনে হয় যেন ঈশ্বর নয়, অন্তর্বাসেরই আরাধনা হচ্ছে এখানে। পুরো ব্যাপারটার মধ্যেই অলৌকিকত্ব বড় বেশি প্রকট।
![Japan](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2018/02/japan.jpg)
মাথার ওপরে ঝুলছে নারীর ব্যবহারযোগ্য রাশি রাশি অন্তর্বাস। ডান-বাম-ওপর-নিচ, যেখানেই চোখ যায় নানা রঙের নানা মাপের অন্তর্বাস দিয়ে সাজানো কক্ষ। দেওয়ালের গায়ে আটকানো পুতুল আর মেয়েদের ছবি। তাঁদের শরীর থেকেও গায়েব পোশাক।
বিবস্ত্র পুতুলগুলোর দিকে তাকিয়ে ভয়ে গা ছমছম করে বইকি। কে বলবে এটা আসলে একটা পরিত্যক্ত বৌদ্ধ মন্দির? ধূপ-ধুনোর সুবাস উধাও। নেই ঘণ্টার মৃদু ধ্বনি বা বৌদ্ধ পুরোহিতের উদাত্ত কণ্ঠে মন্ত্রোচ্চারণ। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কাগজপত্র। অগোছালো ঘর।
অজস্র অন্তর্বাস দেখে মনে হয় যেন ঈশ্বর নয়, অন্তর্বাসেরই আরাধনা হচ্ছে এখানে। পুরো ব্যাপারটার মধ্যেই অলৌকিকত্ব বড় বেশি প্রকট।
ভক্তের আনাগোনা তো দূর, সাধারণ মানুষেরই সেভাবে দেখা মেলে না। তবে কিছু পর্যটক আসেন এই অবাক ব্রা টেম্পল চর্মচক্ষে দেখতে।
কক্ষের বাইরে বার হলে বরং স্বস্তি পর্যটকদের। ‘অন্তর্বাস মন্দির’-এর গা-ছমছমে পরিবেশ থেকে বেরিয়ে খোলা আকাশের নিচে স্বস্তি পান অধিকাংশ পর্যটক।
অথচ কোনও একসময় এই বৌদ্ধ মন্দিরে আরাধনা হত ভগবান বুদ্ধের। ভক্ত সমাগমে গমগম করত চত্বর। কিন্তু মন্দিরের যাবতীয় ব্যয়ভারের দায় সাধারণ মানুষের ওপর চাপায় একসময় বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। কালের প্রবাহে বৌদ্ধ মন্দির হয়ে ওঠে ‘অন্তর্বাস মন্দির’।
৬ বছর আগেই এমন উদ্ভটরূপে আত্মপ্রকাশ করে এই পরিত্যক্ত বৌদ্ধ মন্দির। তবে কে বা কারা মন্দিরের ভিতরে একগাদা অন্তর্বাস এভাবে সাজিয়ে রেখে গেছে তা স্পষ্ট নয়। এমনকি মন্দির কক্ষে অন্তর্বাস সাজিয়ে রাখার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে, মেলেনি তারও সদুত্তর।
নারীর অন্তর্বাসের সংরক্ষণাগারে পরিণত এমন আজব মন্দিরটি রয়েছে জাপানে। সেই মন্দিরে যাওয়ার পথ চেনেন একমাত্র ‘হাইকু’ নামের স্থানীয় বাসিন্দারা।
এখন এই অন্তর্বাস মন্দিরের কথা লোকমুখে ছড়ানোয় পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। ফলে একটা এন্ট্রি ফিও করা হয়েছে। তাতে কী? এমন এক আজব মন্দির চাক্ষুষ করতে অনেক পর্যটকই ছুটে আসেন এখানে।