World

বছরে মাত্র কয়েকদিনের জন্য ড্রাগনের চোখ হয়ে আকাশ দেখে এই ঝিল

বছরে এ দৃশ্য মাত্র কয়েকদিনই দেখতে পাওয়া যায়। খুব বেশি হলে দিন ১০ থেকে ১৫ দিন। যার পিছনে রয়েছে এক রূপকথার কাহিনিও।

কোনও এক সময় একটা ড্রাগন ছিল। যার অন্য এক ড্রাগন কন্যার সঙ্গে প্রেম হয়। ভালবাসায় হাবুডুবু খেতে থাকে ২ ড্রাগন। সে ভালবাসা এতটাই ছিল যে এখনও কয়েকদিনের জন্য প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসে ড্রাগনটি।


এমনই এক রূপকথার কাহিনি আজও মুখে মুখে ঘোরে। আর তখনই সেই কাহিনি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় যখন পাহাড়ের মাথার গোল ঝিলটা বদলে যায় ড্রাগনের খোলা চোখে।

জাপানে অনেক আগ্নেয়গিরি রয়েছে। তার কোনওটা ঘুমন্ত তো কোনওটার জীবন ফুরিয়েছে। এমনই একটি আগ্নেয়গিরি হাচিমানতাই।



এই হাচিমানতাই আগ্নেয়গিরির মাথার জ্বালামুখ জুড়ে তৈরি হয়েছে একটি ঝিল। জ্বালামুখে এমন গোল টলটলে জলের ঝিল অনেক আছে। কিন্তু হাচিমানতাইয়ের এই ঝিল পৃথিবীর অন্যতম আলোচ্য।

সারা বছর কিন্তু আর পাঁচটা ঝিলের মতই শান্ত হয়ে টলটলে জল নিয়ে শুয়ে থাকে এই ঝিল। কিন্তু মে মাসের শেষ থেকে জুনের শুরুটা যেন এ ঝিলে চোখ মেলে ড্রাগন। ঝিলটির দিকে চাইলেই মনে হবে একটি ড্রাগন চোখ মেলে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে।

ঝিলটি পুরো বরফ কখনও হয়না। তবে অনেকটাই বরফে মুড়ে যায়। মে মাসের শেষের দিকে তা গলতে শুরু করে। অদ্ভুতভাবে ঝিলের ঠিক মাঝে জল হয়। গোল জলের ধারে আবার গোল বরফ থাকে। তারপর আবার জল হয়। তাও গোল করে। তার পরে ফের বরফ জমে থাকে।

এই অবস্থাটা দিন ১০ থেকে ১৫ থাকে। তারপর পুরো বরফটাই গলে যায়। এই যে ১০ থেকে ১৫ দিন এমন এক অদ্ভুতভাবে গলে যায় বরফ তখন ঝিলটিকে সত্যিই একটি অতিকায় ড্রাগনের খোলা চোখের মত দেখতে লাগে।

যা দেখতে বহু মানুষ ছুটে আসেন। জাপানের বাসিন্দারাও এই ড্রাগনের খোলা চোখ রূপে ঝিলটিকে দেখাকে ভাগ্যবানের চিহ্ন বলে মনে করেন।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button