World

জ্বালামুখ ফেটে চোখ রাঙাচ্ছে আগ্নেয়গিরি, বাড়িঘর ফেলে পালাচ্ছেন ২ শহরের মানুষ

আগ্নেয়গিরি ঘুমন্তই সুন্দর। জেগে উঠলে তা ভয়ংকর। এমনই এক আগ্নেয়গিরি জেগে উঠল। আশপাশে থাকা মানুষজন সব ফেলে এখন প্রাণ বাঁচিয়ে পালাচ্ছেন।

আগ্নেয়গিরি থেকে যে কোনও মুহুর্তে শুরু হয়ে যাবে বড় বড় পাথর ছিটকে বার হওয়া। যা দূর দূর পর্যন্ত ছিটকে যেতে পারে। যেখানে পড়বে সেখানে মুহুর্তে শেষ হয়ে যাবে সবকিছু।

এছাড়াও প্রবল তাপমাত্রার পাথরের টুকরো, গ্যাস এবং ছাই আশপাশের ৩ কিলোমিটার এলাকায় থাবা বসাতে পারে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। সে বিষয়ে আশপাশের জনবসতিকে সতর্কও করা হয়েছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

চোখের সামনে জ্বালামুখ ফেটে বার হচ্ছে ধোঁয়া, ছাই। এ দৃশ্য দেখার পর আর ঝুঁকি না নিয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা। বাড়ির যেটুকু অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নিতে পেরেছেন তাই নিয়েই পালাচ্ছেন তাঁরা। হাতে সময় নেই। যে কোনও মুহুর্তে শুরু হতে পারে আগ্নেয়গিরির তাণ্ডবলীলা।

জাপানের অত্যন্ত সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসাবেই পরিচিত কাগোসীমা এলাকার সাকুরাজিমা আগ্নেয়গিরি। গত জানুয়ারিতেই জেগে উঠেছিল সে। ফের জেগে উঠল জুলাইতে।

এই আগ্নেয়গিরির ২ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে এরিমুরা এবং ফুরুসাতো নামে ২টি শহর। এবার এমনভাবে সাকুরাজিমা জেগে উঠেছে যে তা ওই ২টি শহরের পরিণতি পম্পেইয়ের মত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শহরের বাসিন্দারা।

২টি শহর এখন জনপ্রাণিহীন শ্মশানে পরিণত হয়েছে। সব মানুষ পালিয়েছেন শহর ছেড়ে। পড়ে আছে তাঁদের জিনিসপত্র আর সারি সারি বাড়ি।

আবহাওয়া দফতর আগ্নেয়গিরিটির গতিপ্রকৃতির দিকে নজর রেখেছে। ২০১৪ সালে এই সাকুরাজিমা থেকে যত লাভা বার হয়েছিল তা শতবর্ষেও জাপানে অন্য কোনও আগ্নেয়গিরি থেকে হয়নি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *