দরিদ্রদের পেট ভরাতে জন্ম নিয়েছিল পিৎজা, সেটাই এখন বহুমূল্য রসনা
বর্তমান প্রজন্মের যেকোনও বয়সের মানুষেরই পিৎজার নামে জিভে জল আসে। কত ধরনের পিৎজার কত রকমারি নাম। কিন্তু এই খাবারের শুরুটা হয়েছিল খেটে খাওয়া মানুষের হাত ধরেই।

এখন একটা দোকানে ঢুকে পিৎজা খাওয়া মানেই মোটা টাকা খরচ। কারণ পিৎজা তৈরিতে দক্ষ রেস্তোরাঁগুলিতে পিৎজার দাম নেহাত কম নয়। মেক্সিকান, আমেরিকান, কানাডিয়ান এমন নানাধরনের পিৎজা রয়েছে। পিৎজা এখন তথাকথিত ধনী বা অর্থবান মানুষের খাবারে পরিণত হলেও একটা সময় পিৎজার জন্মই হয়েছিল দরিদ্র মানুষের পেট ভরানোর জন্য।
জন্মলগ্নে পিৎজা যে রূপ পেয়েছিল তা ছিল সাদামাটা। পিৎজা বানাতে এত ঝামেলা করতে হতনা। তখন তার নাম পিৎজাও ছিলনা। একটা ময়দার রুটির ওপর কিছু মশলা ও সবজি দিয়ে অল্প তেলের সাহায্যে খুব সাধারণভাবেই খাবারটি তৈরি করা হত। যার দামও ছিল নামমাত্র।
এটি আনুমানিক সপ্তদশ শতাব্দীর ঘটনা। তখন ইতালির নেপলসের রাস্তায় কিছু দোকানে রুটির উপর সবজি আর সস দিয়ে কমদামি একরকম খাবার বিক্রি হত। দরিদ্র শ্রমিকরা সারাদিনের কাজ শেষে রাতে ফেরার পথে ওই খাবার খেয়ে পেট ভরাতেন।
১৮৮৯ সালে ইতালির রাজা এবং রানি নেপলস ভ্রমণে এসে নতুন স্বাদের কিছু খাবারের খোঁজ করতে থাকেন। তখন এক দোকানি সেখানকার প্রচলিত সেই রুটির ওপর সবজি দেওয়া খাবারটিকেই একটু মাংসের টুকরো দিয়ে অন্যরকমভাবে বানিয়ে রানিকে পরিবেশন করেন। খাবারটির অভিনব স্বাদে খুশি হয়ে রানি সব জায়গায় এর প্রচার করেন। তাই রানির নামে পিৎজার নাম হয় মার্গারিটা পিৎজা।
রানির পছন্দের খাবারের তালিকায় জায়গা পাওয়ার পর থেকেই অভিজাতদের মধ্যেও পিৎজা খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এরপরেই ইতালি থেকে আমেরিকা হয়ে পিৎজা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে।
সাধারণ মানের একটা খাবার এভাবেই সকলের প্রিয় হয়ে ওঠে। বর্তমানে এমন কয়েকটি ব্র্যান্ড আছে যারা শুধু পিৎজা বিক্রি করে। আর তা করেই তাদের বিশ্বজোড়া খ্যাতি।