মিথ্যে অসুখের কথা বলে অনেকের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন ৩ চিকিৎসক
এমন কোনও রোগই চিকিৎসাশাস্ত্রে হয়না। কিন্তু সেই রোগের কথা বলেই অনেকের প্রাণ রক্ষা করেছিলেন ৩ চিকিৎসক। সে কাহিনি আজও ইতিহাস।
তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। জার্মান সেনারা ইহুদিদের পাকড়াও করে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছে। সেই সময় ইতালিতে নাৎসিরা ঘুরছে দাপটের সঙ্গে। তাদের লক্ষ্য ইহুদিদের খুঁজে পাওয়া। যেখানেই ইহুদিদের বাস সেখানেই হানা দিচ্ছে তারা।
সময়টা ১৯৪৩ সাল। সেই সময় রোমে একদল ইহুদি পরিবার প্রাণ বাঁচাতে হাজির হয় একটি হাসপাতালে। ফেটবেনেফ্রাটেলি হাসপাতাল ছিল ক্যাথলিক হাসপাতাল হিসাবে পরিচিত। সেখানে ইহুদিরা হাজির হন সন্তানদের সঙ্গে করে।
সেখানকার ৩ চিকিৎসক তাঁদের হাসপাতালে স্থান দেন। তাঁদের যে ঘরে রাখা হয় সে ঘরের বাইরে লিখে দেওয়া হয় ভয়ংকর সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্তরা সেখানে ভর্তি। যার নাম দেওয়া হয় সিনড্রোম কে।
সিনড্রোম কে নামে চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোনও রোগের উল্লেখ নেই। কিন্তু ওই ৩ চিকিৎসক রাতারাতি একটা মনগড়া রোগ তৈরি করেন। আর তাতে আক্রান্ত বলে ইহুদি পরিবারগুলিকে হাসপাতালের একটি ঘরে রাখেন।
নাৎসিরা ওই হাসপাতালের পাশ দিয়ে গেলে ইহুদি ওই পরিবারের ছোটদের শেখানো ছিল তারা যেন খুব কাশতে শুরু করে। যা ওই সেনাদের কানে পৌঁছয়।
ইহুদিদের খোঁজে যখন জার্মান সেনারা ওই হাসপাতালে হাজির হয় তখন তারা ওই ঘরটির বাইরে সংক্রামক রোগ ও সিনড্রোম কে-এর কথা শোনে। তারা আর ভিতরে ঢোকার ঝুঁকি নেয়নি।
নিজেদের রক্ষা করতে তারা ওই ঘরের বাইরে থেকেই বিদায় নেয়। ফলে বেঁচে যায় বেশ কয়েকজন ইহুদির প্রাণ। মিথ্যে রোগের গল্প ছড়িয়ে ৩ চিকিৎসকের এভাবে কয়েকজনের প্রাণ রক্ষার সেই ঘটনা আজও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের এক আলোচিত অধ্যায়।