একদিনে ১৬ বার সূর্য উঠল আর ডুবল, মহাকাশে একি দেখলেন শুভাংশু
আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রে এই প্রথম পা রাখলেন কোনও ভারতীয়। ইতিহাস রচনা করা শুভাংশু শুক্লা জানালেন তিনি একদিনে ১৬ বার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখলেন। কেন বললেন এমন কথা।

দ্বিতীয় ভারতীয় মহাকাশচারী হিসাবে মহাকাশে পৌঁছেছেন শুভাংশু শুক্লা। তবে তিনিই প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী যিনি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রেখেছেন। সেখানে পৌঁছনোর পর ভারতের গর্ব শুভাংশু শুক্লা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন।
সেখানে শুভাংশু প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তিনি জানালা দিয়ে কথা বলার আগে দেখছিলেন। তখন তাঁরা হাওয়াইয়ের ওপর ছিলেন। তিনি আরও জানান ১ দিনের মধ্যে তিনি ১৬ বার সূর্যোদয় হতে এবং সূর্যাস্ত হতে দেখেছেন।
সেই অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শুভাংশু জানান, এখানে থাকার প্রতিটি অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে দারুণ। তিনি স্পঞ্জের মত প্রতিটি অভিজ্ঞতা নিজের মধ্যে শোষণ করে নিচ্ছেন।
জানালা দিয়ে যখন শুভাংশু পৃথিবীটাকে দেখছেন তখন তাঁর মনে হচ্ছে এটা একটাই গ্রহ। যার কোনও সীমানা নেই। কোনও সীমানা নজরে পড়ছে না তাঁর। একটাই জায়গা। সেটা পৃথিবী। আর তা সুন্দর।
শুভাংশু আরও জানান, যখন তিনি ভারতকে দেখছেন তখন উপলব্ধি করছেন মানচিত্রে দেখা ভারতের চেয়ে এই ভারত অনেক বেশি সুন্দর। অনেক বেশি রাজকীয়।
১৯৮৪ সালে প্রথম ভারতীয় হিসাবে মহাকাশে পৌঁছেছিলেন রাকেশ শর্মা। সেই ইতিহাসে আর এক অধ্যায় যোগ করলেন শুভাংশু। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে অ্যাক্সিওম-৪ মিশনে ১৪ দিনের জন্য পৌঁছলেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে।
যেখানে শুভাংশু মহাকাশে থাকার অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পাশাপাশি অনেক বিষয়ে গবেষণা করছেন। শুভাংশু শুক্লা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ৬৩৪ নম্বর মহাকাশচারী হিসাবে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পা রেখেছেন তিনি।
শুভাংশু শুক্লা ইসরোর মহাকাশচারী হিসাবে এই মহাকাশ যাত্রা দিয়ে ইতিহাস রচনা করেছেন। এবার ভারতবাসী অপেক্ষায় আছেন কবে ভারত তার নিজের তৈরি মহাকাশযানে ভারতের মাটি থেকে মানুষকে মহাকাশে পাঠাবে।
প্রসঙ্গত রাকেশ শর্মা মহাকাশে গিয়েছিলেন রাশিয়ার মহাকাশযানে। আর শুভাংশু পৌঁছলেন আমেরিকার মহাকাশযানে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা