SciTech

রায়া, বিশ্বের প্রবীণতম ওরাংওটাং

চলে গেছে রায়া। বিশ্বের প্রবীণতম ওরাংওটাং। ২০১৩ সালের নভেম্বরে তাকে উদ্ধার করা হয় সুমাত্রার উচ্চতম অরণ্য বাতাং তরু থেকে। গুরুতর ভাবে জখম ছিল সে। তার মাথা, কাঁধ, হাত ও পায়ে ছিল গভীর ক্ষত। তার শরীর থেকে পাওয়া গিয়েছিল রাইফেলের গুলি। ৮ দিনের মাথায় চিকিৎসক ও গবেষকদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যায় সে। কিন্তু মৃত্যুর পরও রায়া জীব বিজ্ঞানীদের জন্য রেখে যায় বিস্ময়।

তার খুলি ও দাঁতের গঠন দেখে বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ, রায়া পোঙ্গো ট্যাপানুলিয়েনসিস নামে সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির অন্তর্গত আদি মানব। বর্তমানে ২ ধরণের ওরাংওটাং প্রজাতির অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সুমাত্রান ও বর্ণিয়ান। বাতাং তরুর ওরাংওটাংগুলো সাধারণত এই দুই প্রজাতির মিশ্র রূপ। এরা বিলুপ্তপ্রায় প্রাণি হিসেবে চিহ্নিত।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বিজ্ঞানীদের উদ্ধার করা ওরাংওটাংটির বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। সুমাত্রান, বর্ণিয়ান ও ট্যাপানুলি, এই ৩ প্রজাতির মিশ্র বংশগত বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে। যা এক কথায় অবাক করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। বাতাং তরু অরণ্যে প্রায় ৮০০-র মতো আদি-মানবের বংশধরেরা বসবাস করে। তাদের মধ্যে রায়াকে বিশ্বের প্রবীণতম মিশ্র প্রজাতির ওরাংওটাং হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন জীববিজ্ঞানীরা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *