সূর্য আর চাঁদের সম্পর্ক নিয়ে পৃথিবীকে একদম নতুন তথ্য দিল ভারত
সূর্য ও চাঁদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে এবার একদম নতুন তথ্য পৃথিবীকে জানাল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। যা পরবর্তীকালে চাঁদে মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থায় সাহায্য করবে।

সূর্যের আলো যেমন চাঁদে পড়ে, তেমনই সূর্যের অন্য প্রভাবও চাঁদের ওপর গিয়ে পড়ে। তারই একটা দিক এবার পৃথিবীকে জানিয়ে দিল ভারতের ইসরো। চাঁদের মাটিতে না নামলেও তার চারধারে খুব কাছ থেকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান-২।
সেই চন্দ্রযানই এই প্রথম একটি নয়া তথ্য সামনে আনল। যা পৃথিবীজুড়ে চাঁদ নিয়ে গবেষণায় এক নতুন দিক খুলে দিল। আগামী দিনে চাঁদে মানুষের যাতায়াত বাড়ানোর ব্যবস্থা পাকা করার কাজ চলছে। চাঁদে পাকাপাকিভাবে থাকার ব্যবস্থাও করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা।
এসবের জন্য চাঁদের বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতি স্পষ্ট জানা প্রয়োজন। তবেই বোঝা যাবে সেখানে মানুষের কি কি সমস্যা হতে পারে। সেখানেই বিশ্বকে একধাপ এগিয়ে দিল ভারত।
সূর্যের করোনাল মাস ইজেকশন অর্থাৎ সূর্যের প্লাজমা একটি অতি উজ্জ্বল বাল্বের আকারে সূর্য থেকে ঠিকরে বার হওয়া। যার সঙ্গে যুক্ত সূর্যের সূর্যরশ্মি অনেক দূর পর্যন্ত ছিটকে আসা। যা অনেকসময় পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারে এসে প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি সেই সূর্যের করোনাল মাস ইজেকশন বিরল প্রভাব ফেলে চাঁদের এক্সোস্ফিয়ারে। চাঁদের এক্সোস্ফিয়ার অত্যন্ত পাতলা একটি স্তর। সেটির ওপর এই প্রভাব চাঁদের এক্সোস্ফিয়ারে চাপ বাড়িয়ে দেয়। যা ধরা পড়ে ইসরোর চন্দ্রযান-২-এ থাকা চন্দ্রস অ্যাটমোস্ফিয়ারিক কম্পোজিশন এক্সপ্লোরার-২ নামে যন্ত্রে।
এর আগে সূর্যের করোনাল মাস ইজেকশনের চাঁদের এক্সোস্ফিয়ারের ওপর প্রভাব সম্বন্ধে কোনও তথ্য বিজ্ঞানীদের কাছে সেভাবে ছিলনা। বিষয়টি এবার অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গেল বিজ্ঞানীদের কাছে। ফলে আগামী দিনে চন্দ্রাভিযানকে সুগম করতে বিজ্ঞানীদের সুবিধা হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা