State

অসমে নাগরিক পঞ্জীকরণের প্রতিবাদে মতুয়াদের রেল অবরোধ, নাকাল নিত্যযাত্রীরা

একে নাগাড়ে বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা। তারমধ্যে কাজের দিনের সকালে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়াল সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের রেল অবরোধ। কলকাতার বাইরে থেকে পড়তে হোক বা চিকিৎসার জন্য হোক বা পেশাগত কারণে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন শহরে প্রবেশ করেন। তাঁদের ভরসা কেবলমাত্র ট্রেন। ফলে সকালে শিয়ালদহ ও হাওড়া শাখার লোকাল ট্রেনগুলিতে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। এমন ব্যস্ত সময়ে ঝমঝমে বৃষ্টির মধ্যেই বুধবার সকাল থেকে ট্রেন অবরোধে নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রীদের।

অসমে নাগরিক পঞ্জীকরণের প্রতিবাদে সকাল থেকে নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধ শুরু করেন মতুয়ারা। ব্যারাকপুর, বারাসত, নিউ ব্যারাকপুর, সন্ডালিয়া, দত্তপুকুর, পলতা, দমদম, নৈহাটি, গোবরডাঙা, মধ্যমগ্রাম সহ বিভিন্ন স্টেশনে রেল অবরোধ করেন তাঁরা। অনেক স্টেশনে ঢাকঢোল বাজিয়ে গান করে রেল লাইনে বসে প্রতিবাদ জানান মতুয়ারা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

মধ্যমগ্রাম স্টেশনে এদিন অবরোধ শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে। তখন স্টেশনে নিত্যযাত্রীদের ভিড়। অনেকে স্টেশনে এসেও ফিরে যান। মাস পয়লায় এমন দুর্ভোগে অখুশি অনেকেই। মহিলা যাত্রীদের অনেকেই এদিন মধ্যমগ্রাম সহ বিভিন্ন স্টেশনে এসেও বাড়ি ফিরে যান। মধ্যমগ্রামে অবশ্য অবরোধ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট ৪৫ অবরোধ চলার পর তা উঠে যায়। কিন্তু মধ্যমগ্রাম থেকে অবরোধ উঠলেও অন্য স্টেশনে অবরোধ থাকায় এতে সুরাহা কিছু হয়নি।

এদিনের অবরোধের জেরে স্কুল, কলেজে সঠিক সময়ে পৌঁছতে বা কর্মক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রবেশ করতে দিশেহারা হয়ে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। ট্রেন বন্ধ। কখন ফের চালু হবে তার ঠিক নেই। ফলে অনেকেই সড়কপথে ভিজে নেয়ে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। যার জেরে বাসে প্রবল ভিড় হয়ে যায়। এদিকে অনেক রাস্তায় জল থাকায় যানবাহনের গতি ছিল সকাল থেকেই শ্লথ। সব মিলিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় নিত্যযাত্রীদের। বেলার দিকে অবশ্য এক এক করে স্টেশন থেক অবরোধ উঠে যায়। ফেল চালু হয় ট্রেন। কিন্তু ততক্ষণে অফিস টাইম পার হয়ে গেছে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *