State

চলন্ত ট্রেনে ট্যারান্টুলার দংশন? মৃত যাত্রী

ছেলের চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পথে বিষাক্ত ট্যারান্টুলা মাকড়সার কামড়ে মৃত্যু হল বাবার। অন্তত তেমনই দাবি করা হচ্ছে। মৃতের নাম পিন্টু সাউ। বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। ছেলের চিকিৎসা করাতে তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। বাড়ি ফিরতে গত শনিবার সকালে কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস ধরেন তিনি। রাতে স্লিপার ক্লাস কামরায় ঘুমোচ্ছিলেন। ওড়িশা থেকে ট্রেন পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের কিছু আগে ঘুমন্ত পিন্টু সাউয়ের পা কামড়ে দেয় একটি কীট। যা ট্যারান্টুলা মাকড়সা ছিল বলে দাবি করেছেন যাত্রীদের একাংশ। যদিও দংশন যে ট্যারান্টুলা থেকেই হয়েছে এ বিষয়ে নিশ্চিত কোনও তথ্য এখনও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়নি। এদিকে সে ট্যারান্টুলাই হোক বা অন্য কোনও বিষাক্ত কীট। তীব্র দংশনে ঘুম ভেঙে যায় ওই ব্যক্তির। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। খবর দেওয়া হয় টিটিকে। টিটি ও ট্রেনের মেডিক্যাল টিম এসে ওই ব্যক্তিকে ব্যথা কমানোর ওষুধ দেন। যাত্রীদের দাবি, ট্যারান্টুলাটিকে ধরে নিয়ে চলে যান তাঁরা। চলন্ত ট্রেনের ভিতর বিষাক্ত কীট এল কী করে, তাই নিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় যাত্রীদের মধ্যে। শুরু হয় জল্পনা।

এর মাঝেই ফের ব্যথায় আর্তনাদ করে ওঠেন পিন্টু সাউ। সহযাত্রীদের দাবি, প্রথমে রেল কর্তৃপক্ষ ওই ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে চায়নি। যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখালে কার্যত বাধ্য হয়েই পিন্টু সাউকে খড়গপুরে নামিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। তারপর তাঁকে এগরার বাসে তুলে দেওয়া হয়। বাড়ি ফিরে ঘণ্টা খানেক পর আবার ওই ব্যক্তি যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন। ক্রমশ সেই যন্ত্রণা পা থেকে সারা শরীরে সংক্রমিত হয়ে পড়ে। গত রবিবার রাতে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়। সেখানেই সোমবার ভোররাতে মৃত্যু হয় তাঁর। এরপরই রেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মৃতের পরিবার। রেল কর্তৃপক্ষের ঔদাসীন্য ও গাফিলতির অভিযোগ করে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে মৃতের পরিজন।



Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button