একা একাই ১৩ কিমি! পাকড়াও ‘স্বেচ্ছাচারী’ ইঞ্জিন

একটি ইলেকট্রিক ইঞ্জিন দিব্যি ১৩ কিলোমিটার পাড়ি দিল বিনা চালকে। সেই ইঞ্জিনকে আবার বাইকে পিছু ধাওয়া করে সিনেমার কায়দায় পাকড়াও করেন চালক। এমনই এক চমকপ্রদ কাণ্ড ঘটেছে কর্ণাটকের ওয়াদি রেল স্টেশনে।
ঘটনার সূত্রপাত গত বুধবার দুপুর ৩টেয়। চেন্নাই থেকে আসা মুম্বইগামী ট্রেনটি ওয়াদি রেল স্টেশনে প্রবেশ করে। এই স্টেশনে ট্রেনের ইলেকট্রিক ইঞ্জিন পরিবর্তন করে গাড়ির সামনে জুড়ে দেওয়া হয় ডিজেল ইঞ্জিন। কারণ ওয়াদি থেকে সোলাপুরের রেলপথে কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তাই ডিজেল ইঞ্জিনই ভরসা। এদিনও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু ডিজেল ইঞ্জিন জুড়ে ট্রেন পাড়ি দিল নিজের গন্তব্যে। তার কিছু পরেই ওয়াদি স্টেশনে একা দাঁড়িয়ে থাকা ইলেকট্রিক ইঞ্জিনটি নিজের মত করে আচমকাই চালক ছাড়া চলতে শুরু করল। ধর, ধর করে চেঁচিয়ে উঠলেন অনেকে। তবে এতো আর মানুষ নয়। আস্ত একটা ইলেকট্রিক ইঞ্জিন। ফলে তাকে এমন খপাৎ করে ধরা মানুষের কম্মো নয়। এবারই বাস্তবের মাটিতে ঘটে গেল সেলুলয়েডের কাণ্ডকারখানা।
সিনেমার নাটকীয় কায়দায় চালক আরও এক রেলকর্মীকে নিয়ে মোটরবাইকে পিছু ধাওয়া করলেন একলা চলা ইঞ্জিনের। ইঞ্জিনও ছুটছে। পিছনে পিছনে দুরন্ত গতিতে বাইকও ছুটছে। এমন করে ২০ মিনিট পিছু ধাওয়ার পর একসময়ে কব্জায় আসতেই বাইক থেকে লোকো চালক লাফ দিলেন চলন্ত ইঞ্জিনে। তারপর কোনওক্রমে টাল সামলে পৌঁছলেন ইঞ্জিনের কন্ট্রোল রুমে। ব্রেক মেরে থামালেন ইঞ্জিনের এই স্বেচ্ছাচার। এইভাবেই যবনিকা পতন ঘটল এক রুদ্ধশ্বাস নাটকের। রেলের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।