ট্রেন ও হাতির ধাক্কা রুখতে সম্পূর্ণ নতুন রাস্তায় হাঁটছে রেল
জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ট্রেন যাতায়াত করার সময় অনেকসময় হাতি এসে পড়ে লাইনের ওপর। ধাক্কাও খায়। এটা বন্ধ করতে এবার একদম নতুন পথে হাঁটতে চলেছে রেল।
এই সমস্যা সবচেয়ে বেশি হয় ওড়িশা, উত্তরবঙ্গ এবং অসমে। জঙ্গলে হাতি থাকবে। সেটাই তাদের বাসস্থান। আবার এক জায়গা থেকে অন্য গন্তব্যে পৌঁছতে মানুষের ভরসা ট্রেন। ট্রেনকে একটা জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে অনেক সময়ই জঙ্গলের মাঝখান দিয়ে লাইন পাততে হয় ভারতীয় রেলকে।
হাতি জঙ্গলে ঘোরাফেরার সময় জঙ্গলের মাঝে পাতা রেললাইনের ওপর এসে পড়ে। আর ঠিক তখনই যদি সেখান দিয়ে কোনও ট্রেন যায় তাহলে সেই ট্রেনে সরাসরি ধাক্কা খায় হাতিরা।
অনেকসময় হাতিরা এর ফলে গুরুতর আহত হয়। আবার অনেকসময় হাতিদের প্রাণও যায়। এভাবে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির প্রাণহানি বন্ধ করতে এবার একদম নতুন পথে হাঁটছে নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেল।
জঙ্গলের মাঝে রুট কিলোমিটার্স ধরে যে লাইন পাতা রয়েছে তা এবার প্রযুক্তির নজরদারিতে এনে হাতি সহ বন্যপ্রাণিদের রক্ষার ব্যবস্থাপনার পথে হাঁটল রেল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর একটি ডিটেকশন সিস্টেম এবার হাতি সহ অন্য প্রাণির লাইনের ওপর এসে পড়ার খবর দেবে সঠিক সময়ে।
এতে আগে থেকেই সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন লোকো পাইলট থেকে কাছের স্টেশনের স্টেশনমাস্টাররা। এই এআই সতর্কতা প্রযুক্তি কাজে লাগানোর কথা সংসদে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
এই ব্যবস্থা লোকো পাইলট, স্টেশনমাস্টার এবং কন্ট্রোল রুমকে একসঙ্গে সতর্ক করবে। আগেই জানিয়ে দেবে সামনে লাইনে হাতি বা অন্য কোনও প্রাণি রয়েছে। ফলে আগাম সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন লোকো পাইলট।
বন্যপ্রাণ রক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পাবেন স্টেশনমাস্টার বা কন্ট্রোল রুমে কর্তব্যরত আধিকারিকরা। যা আখেরে হাতিদের এই বেঘোরে প্রাণ যাওয়া রুখে দেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













