বাংলার রেলস্টেশনে অতি বিরল প্রাপ্তি, মিলল ট্রেনের কামরা থেকে
অতি বিরল প্রাপ্তির সাক্ষী হল মালদা। আম নয়, অন্যকিছু। বাংলার এই জেলার রেলস্টেশনে একটি রেলের কামরা অবাক করল রেল পুলিশকেও।

খবরটা এসেছিল কোনও সূত্র মারফত। তারপরই পরিকল্পনা শুরু হয়। অবশ্যই গোপনে। তারপর সবদিক সাজিয়ে নিয়ে মালদা টাউন স্টেশনে ওত পেতে ছিলেন গভর্নমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ বা জিআরপি আধিকারিকরা।
এদিকে স্টেশনে যথেষ্ট ভিড়। অনেক ট্রেনের যাতায়াত চলছে। তারমধ্যেই এসে দাঁড়ায় ফারাক্কা এক্সপ্রেস। এই ট্রেনটার জন্যই ছিল অপেক্ষা। ট্রেনটি আসতেই জিআরপি আধিকারিকরা একটি অসংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েন। শুরু হয় খোঁজ।
বেশি খুঁজতে হয়নি। পেয়েও যান যা খুঁজছিলেন। খবর যে সঠিক ছিল তা পরিস্কার হয়ে যায় তাঁদের কাছে। যে ৫টি ব্যাগের সন্ধান ছিল সেটা একসঙ্গে পেয়ে যান তাঁরা। আর তা খুলতেই বেরিয়ে আসে অতি বিরল ২৬৮টি কচ্ছপ।
অতি বিরল প্রজাতির এই কচ্ছপের যে পিঠের খোল তা নরম হয়। কচ্ছপের পিঠের খোল অতি শক্ত বলেই সকলের জানা। কেবল এই কচ্ছপগুলির পিঠের খোল নরম হয়। এরা প্রায় হারানোর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এরা এতটাই বিরল যে এই কচ্ছপগুলি ভারতের ওয়াইল্ড লাইফ প্রোটেকশন আইন ১৯৭২-এ শিডিউল ১-এর অন্তর্গত।
যার মানে হল সর্বোচ্চ সুরক্ষা প্রদান করা হবে এই প্রজাতির কচ্ছপদের। এদের কোনও ক্ষতি করা যাবেনা। এদের বিক্রি করা, প্রাণ কাড়া বা তাদের অন্য কোনও ভাবে বিরক্ত করা যাবনা। কেউ যদি তা করেন তাহলে তাঁকে অতি কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
যে ২৬৮টি এমন অতি বিরল কচ্ছপ উদ্ধার হয় তার মধ্যে ৬৯টির দেহে আর প্রাণ ছিলনা। আধিকারিকরা মনে করছেন এদের বালুরঘাট থেকে আনা হচ্ছিল। কিন্তু কারা আনছিল?
৫টি ব্যাগ ভর্তি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির এই সফট শেল টার্টলগুলি পাওয়া গেলেও কারা এই ব্যাগগুলি আনছিল তার খোঁজ মেলেনি। কারণ ব্যাগের সঙ্গে কাউকে পাওয়া যায়নি।
আপাতত কচ্ছপগুলিকে সুরক্ষিতভাবে রাখা হয়েছে। আইন মেনে প্রাণহীন কচ্ছপগুলিকে মাটিতে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা