National

চলন্ত ট্রেনের শৌচাগারে শিশুর জন্ম

ট্রেন ছুটে চলেছে গন্তব্যে। কিন্তু সেখানে পৌঁছতে তখনও দেরি। এক মহিলার প্রসব হল সেই চলন্ত ট্রেনের শৌচাগারেই। এই ঘটনা দেশবাসীকে হতবাক করে দিয়েছে।

যে চিকিৎসক তাঁর স্ত্রীকে দেখছিলেন তিনি জানিয়েছিলেন সন্তান জন্ম নেবে ডিসেম্বরের কোনও এক সময়ে। হাতে কিছুটা সময় আছে। তাই দিল্লিতে কর্মরত সূরজ স্থির করেন তিনি স্ত্রী সিম্পিকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে রেখে আসবেন। ৮ মাসের সন্তানসম্ভবা। এই অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে থাকলে তাঁর মনও ভাল থাকবে। আবার যত্নও ঠিকঠাক হবে।

সূরজ তাই বেছে নিয়েছিলেন ছট পুজোর সময়কে। বিহারের ভাগলপুরের এই দম্পতি তাঁদের সবচেয়ে বড় উৎসব উপলক্ষে বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠে বসেন শ্রমজীবী এক্সপ্রেসে।

ট্রেন বেশকিছুটা পথ অতিক্রম করার পর চলন্ত ট্রেনেই আচমকা প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় সিম্পির। এই সময় প্রসবের কথা না থাকলেও তখন তো কিছু করার সেই। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। দিশেহারা হয়ে পড়েন সূরজ।

সহযাত্রীদের বিষয়টি জানান তিনি। ট্রেনে সফররত মহিলারা দ্রুত সিম্পিকে নিয়ে ট্রেনের শৌচাগারে চলে যান। সেখানে তাঁদের সহযোগিতায় সন্তান প্রসব করেন সিম্পি। যাবতীয় সাহায্য দেন ট্রেনে থাকা কয়েকজন সিআরপিএফ জওয়ান। তাঁরা কিছু অর্থও হাতে তুলে দেন সূরজের।

এরপর মোরাদাবাদ স্টেশনে ট্রেন থামলে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ কর্মীরা সিম্পিকে সন্তান সহ হাসপাতালে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেন।

মা ও সন্তান এখন ভাল আছে। এভাবে তাঁর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সিআরপিএফ, আরপিএফ সহ সহযাত্রীদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সূরজ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *