নৌবাহিনীতে দেশিয় প্রযুক্তির আরেক অসামান্য সংযোজন, সুরক্ষা আরও জোরদার করল মাহে
দেশের সুরক্ষাকে যত নিশ্ছিদ্র করা যাবে ততই দেশের মাটি, দেশের মানুষ সুরক্ষিত থাকবেন। সেই দৌড়ে এবার নবতম সাফল্য পেল ভারত।
দেশের সুরক্ষাকে সুনিশ্চিত করতে অস্ত্রভান্ডার শক্তিশালী হওয়া জরুরি। জরুরি দেশিয় প্রযুক্তির উন্নতি। যা কাজে লাগিয়ে নিজের ভূখণ্ড, জলভাগ ও আকাশপথের সুরক্ষাকে নিজেরাই জোরদার করা যায়।
সেই দৌড়ে ভারতীয় নৌবাহিনী একের পর এক সাফল্য অর্জন করে চলেছে। এই তালিকায় যুক্ত হল আরেক বিশাল সাফল্য। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিশেষ ধরনের অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার তৈরি করা হল সম্পূর্ণ দেশিয় প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে।
জলভাগের সুরক্ষায় বিদেশি প্রযুক্তির মুখাপেক্ষী না হয়ে ভারত এখন নিজের সুরক্ষা নিজেই বানিয়ে ফেলতে সক্ষম। সেটাই ফের একবার প্রমাণ হল।
ভারতীয় নৌসেনার ভান্ডারে যুক্ত হচ্ছে ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম অ্যান্টি-সাবমেরিন ওয়ারফেয়ার। আইএনএস মাহে এবার যুক্ত হতে চলেছে নৌসেনায়। আগামী ২৪ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে তা জলে ভাসবে।
আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোচিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডে এই মাহে রণতরী তৈরি করা হয়েছে। মাহে ভারতীয় উপকূলের কাছে ঘেঁষতে চাওয়া শত্রুপক্ষের সাবমেরিন বা ডুবোজাহাজকে চিহ্নিত করে তা ধ্বংস করে দিতে সক্ষম।
এই রণতরীতে ব্যবহৃত ৮০ শতাংশ যন্ত্রাংশই ভারতে তৈরি করা হয়েছে। মাহে-র ক্ষিপ্র গতি, মর্যাদা এবং মোক্ষম আঘাতের সক্ষমতা নৌসেনার শক্তিকে অনেকাংশে বাড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূলের কাছের অপেক্ষাকৃত অগভীর জলে এই নব্য প্রজন্মের ঘাতক যান দেশের সুরক্ষাকে অনেকটা নিশ্চিন্ত করল বলেও নিশ্চিত সবাই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













