National

সন্দেহভাজন আগন্তুক, ২ ছাত্রের বয়ানে তোলপাড় উরন

সকাল সাড়ে ছটা। রাস্তায় তেমন ভিড় ছিলনা। সেনা পোশাক পরা ৫-৬ জনের একটি দল সেখানে ঘুরছিল। কাঁধে ছিল ব্যাগ। সঙ্গে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। নিজেদের মধ্যে ওএনজিসি ও স্কুল নিয়ে কিসব কথা বলছিল তারা। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে মহারাষ্ট্রের বন্দর শহর উরনের ২ স্কুল পড়ুয়া স্কুলের অধ্যক্ষকে সবকিছু জানায়। দুই ছাত্রের বক্তব্য তখনই পুলিশকে ফোন করে জানান অধ্যক্ষ। এরপর আর মুহুর্ত সময় নষ্ট করেনি পুলিশ। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রের এই বয়ানের ভিত্তিতে গোটা সেনাবাহিনী নড়েচড়ে বসে। মুম্বই থেকে উরন, সর্বত্র উপকূলে জারি হয় সতর্কতা। রাস্তায় রাস্তায় নাকাবন্দি করে পুলিশ। প্রত্যেক গাড়ি চেক করা শুরু হয়। আকাশপথে সেনার পোশাক পরা আগন্তুকদের খোঁজ শুরু করে সেনা। নৌসেনার কমান্ডো বাহিনী মার্কোসকে তৈরি রাখা হয়। এনএসজি কমান্ডোদেরও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কার্যত মহারাষ্ট্র জুড়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। রাজ্য থেকে বার হওয়ার রাস্তাগুলিও নজরে রাখা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির ওপর দিল্লি থেকেও নজর রাখা হচ্ছে। উরি হামলার পর এবার ভারতীয় নৌঘাঁটিকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা টার্গেট করতে পারে বলে মনে করছেন সেনা আধিকারিকরা। তাই দুই ছাত্রের বক্তব্য হলেও কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নন তাঁরা।


Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button