National

উরি হামলা, হাতিয়ার কূটনৈতিক মোকাবিলা

উরিতে সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হানা নিয়ে সোমবার সকাল থেকেই সরগরম দিল্লি। এদিন সকালে উরি নিয়ে ফের একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্করও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এদিন। সূত্রের খবর, উরি হামলায় পাক যোগের যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ পাকিস্তান সরকারের হাতে তুলে নিয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে এইসব তথ্যপ্রমাণ আন্তর্জাতিক স্তরেও তুলে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি আসন্ন সার্ক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর যোগদানও উরি হামলার পর প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়েছে। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু পরিস্কার জানিয়েছেন হঠকারী কোনও সিদ্ধান্ত নয়, অবস্থা পর্যালোচনা করেই ভারত কূটনৈতিক পদক্ষেপ করবে। অন্যদিকে জঙ্গি হানার পর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নজরদারিও কড়া করা হয়েছে। গত রবিবার ভোরে উত্তর কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে আচমকাই পিছন দিক থেকে লুকিয়ে ঢুকে আক্রমণ চালায় ৪ জৈশ জঙ্গি। প্রথমে আছড়ে পড়তে থাকে গ্রেনেড। সেসময়ে সেনা ঘাঁটিতে ঘুমিয়ে ছিলেন ডোগরা ও বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানরা। অতর্কিত হানার ধাক্কা সামলে তাঁরাও পাল্টা গুলি চালাতে শুরু করেন। জঙ্গিদের হাতে থাকা স্বয়ংক্রিয় আধুনিক বন্দুক থেকে সেনাদের লক্ষ্য করেও ছুটে আসতে থাকে গুলি। এদিকে গ্রেনেড হানায় তখন সেনা তাঁবুর অনেকগুলিতেই আগুন লেগে গেছে। ডিজেল ডাম্পে আগুন লাগায় অবস্থা আরও শোচনীয় আকার নেয়। একদিকে সেনা ঘাঁটি জুড়ে দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। তারমধ্যে অন্যপ্রান্ত থেকে ছুটে আসছে শয়ে শয়ে গুলি। দুয়ের চাপে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েন ভারতীয় জওয়ানরা। ১২ জন জওয়ানের আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয়। ৬ জনের মৃত্যু হয় জঙ্গিদের গুলিতে। মৃত জওয়ানদের মধ্যে দুজন বাঙালি। এভাবে জঙ্গিদের সঙ্গে প্রায় ৩ ঘণ্টা লড়াইয়ের পর ৪ জঙ্গিকেই খতম করতে সমর্থ হয় সেনা। তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় পাকিস্তানের তৈরি অস্ত্র। সঙ্গে ছিল উরি ঘাঁটির পুরো নকশা। ফলে সেনা আধিকারিকদের ধারণা উরির ওপর অনেকদিন ধরেই নজরদারি চালাচ্ছিল পাক সেনা। রবিবারের গুলি যুদ্ধে আরও বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তবে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পাঠানকোটের পর ফের ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে এসে এভাবে সেনাঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা ব্যবস্থা।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *