ডাকবিভাগের ভুলে ৭২ বছর পর প্রেরকের কাছেই ফেরত এল তাঁর লেখা চিঠি
বাবা মাকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি তখন যুবা। সে চিঠি তাঁর বাবা মায়ের কাছে পৌঁছয়নি। তবে ৭২ বছর পর তাঁর কাছে ফেরত এসেছে।

১৯৫৩ সাল। তখন ডাকবিভাগ সদা তৎপর। কারণ তখন যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমই ছিল চিঠি। খামে ভরা চিঠি, ইনল্যান্ড লেটারে চিঠি, পোস্টকার্ডে চিঠি। চিঠিই ছিল দূরে থাকা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার উপায়।
সেই সময় এক যুবক তাঁর বাবা মাকে একটি চিঠি লেখেন। পোস্টকার্ডে লেখেন চিঠিটি। সেই চিঠি তাঁর বাবা মা কিন্তু পাননি। এদিকে তিনি জানতেন বাবা মা তাঁর খবর পেয়ে যাবেন ওই চিঠিতে।
ফলে তিনি নিশ্চিন্তে পুয়ের্তো রিকোয় গ্রীষ্মকালীন অবসর কাটাতে চলে যান। তারপর বহু বছর কেটে গেছে। সে চিঠির কোনও হদিশ ছিলনা। ৭২ বছর পর আমেরিকার ইলিনয় ডাকঘরে ওই চিঠিটি এসে পৌঁছয়।
৭২ বছর লেগে গেল একটা চিঠি নিউ ইয়র্ক থেকে ইলিনয় আসতে! পোস্টমাস্টার তো অবাক। তিনি বেশ বুঝতে পারেন এটা সম্পূর্ণ ডাকবিভাগের গাফিলতিতে ঘটেছে।
ডাকবিভাগেরই কোথাও কোনও খাঁজে পোস্টকার্ডটি এতদিন পড়েছিল। যা কারও নজরে আসেনি। এখন যখন নজরে পড়েছে তখন তা পাঠানো হয়েছে। পোস্টমাস্টার খোঁজ শুরু করেন প্রেরকের।
খোঁজও পাওয়া যায়। প্রেরক যুবক এখন ৮৮ বছরের বৃদ্ধ। থাকেন আইডাহো-র স্যান্ডপয়েন্ট নামে জায়গায়। তাঁকে সব জানানোর পর তিনি অবশ্য ১৯৫৩ সালে তাঁর বাবা মাকে এমন কোনও চিঠি লিখেছিলেন কিনা তা মনে করতে পারেননি।
তবে ওই চিঠিটির ছবি দেখে নিজের হাতের লেখা চিনতে পেরেছেন বৃদ্ধ। অ্যালান বল নামে ওই বৃদ্ধকে তাঁরই লেখা চিঠি ফেরত পাঠায় ডাকবিভাগ। ৭২ বছর পর নিজের পাঠানো চিঠি তিনি নিজেই ফেরত পেলেন ডাকবিভাগের ভুলে।