মাত্র ১ দিনের জন্য দেশের সব মহিলা রাস্তায় বেরিয়ে বদলে দিলেন ইতিহাস
সব বয়সের মহিলা সেদিন রাস্তায়। বাড়ি, অফিস, কারখানা, দোকান, কোথাও কোনও মহিলা নেই। সেই ১টা দিন বদলে দিল দেশের ইতিহাস।
যাঁরা অফিসে কাজ করতেন তাঁরা বেরিয়ে এলেন। যাঁরা গৃহবধূ ছিলেন তাঁরা বেরিয়ে এলেন। বেরিয়ে এলেন কারখানা বা অন্যত্র কাজ করা মহিলারাও। ঘরসংসারের কাজ থেকে অফিস কাছারির কাজ, কিছুই তাঁরা করবেননা।
একথা সাফ জানিয়ে দিলেন মহিলারা। একটা গোটা দেশের মহিলারা সেদিন রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন। যা বিশ্ব ইতিহাসের এক অধ্যায় হয়ে যায়। রাস্তায় সেদিন বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন দেশের ৯০ শতাংশ মহিলা।
মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা এখন বলা হয়। ওই একটা দিনে কিন্তু দেশের মহিলারা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা কাজ বন্ধ করে দিলে দেশ স্তব্ধ হয়ে যাবে। হয়েছিল তাই।
সেদিন আইসল্যান্ড দেশটা থমকে গিয়েছিল। মহিলাদের দাবি ছিল একটাই। তাঁদের পুরুষদের মতই সমানাধিকার চাই। ওই একটা দিন দেশের সব মহিলার এককাট্টা হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসা আগামী দিনে আইসল্যান্ডের ইতিহাস বদলে দিয়েছিল।
মহিলাদের সমানাধিকার নীতি আইসল্যান্ডের সংসদে গৃহীত হয়। ঘটনাটা ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের ২৪ অক্টোবরে। তার ঠিক ৫ বছরের মাথায় আইসল্যান্ড তাদের দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট পায়। ভিগদিস ফিনবোগাদোত্তির নামে এক মহিলা দেশের প্রেসিডেন্ট পদে বসেন।
ভিগদিসের তখন ডিভোর্স হয়ে গিয়েছিল। একাই বড় করছিলেন তাঁর সন্তানকে। তিনিই আইসল্যান্ডে মহিলাদের সমানাধিকার আরও সুনিশ্চিত করেন।
বিশ্বে পরবর্তীকালে আইসল্যান্ড এমন এক দেশে পরিণত হয় যেখানে সবচেয়ে বেশি মহিলাদের অধিকার সুনিশ্চিত হয়। মাত্র ১টা দিন দেশের সব মহিলা কাজ বন্ধ দেওয়ার ফল যে কতটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে তার এক অনবদ্য উদাহরণ হয়ে আছে আইসল্যান্ডের ১৯৭৫ সালের ২৪ অক্টোবর দিনটা।