হঠাৎ বুকে ব্যথা, কি করবেন, পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য
হঠাৎ করে বুকে ব্যথা হতেই পারে। বুকে ব্যথা কিন্তু একেবারেই অবহেলা করার বিষয় নয়। বরং বুকে ব্যথা হলে তখনই কি করবেন তার উপায় জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য।

যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময়, যে কোনও বয়সের মানুষেরই বুকে ব্যথা শুরু হতে পারে। বুকে ব্যথা হলে অনেকে মনে করেন সাধারণ গ্যাস, অম্বলের ব্যথা। অনেকে আবার ধরেই নেন নিশ্চিতভাবে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। কিন্তু বিখ্যাত চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্যের মতে এমন নাও হতে পারে যে ওই ব্যক্তি হৃদরোগের শিকার।
বুকে ব্যথার অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। যেটাই হোক না কেন, বুকে ব্যথা শুরু হলে সময় নষ্ট করা উচিত নয়। নিজেরা নানা কিছু ভেবে নেওয়ারও দরকার নেই। বরং কেন ব্যথা হচ্ছে তার সঠিক কারণ জানা জরুরি।
বুকে ব্যথা হলে প্রাথমিক কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন যদি বুকে ব্যথা হয় তাহলে সময় নষ্ট না করে যত দ্রুত সম্ভব কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বা কোনও হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
তার আগে বুকে ব্যথায় কাবু ব্যক্তিকে জোরে জোরে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে হবে। সেই সঙ্গে জল পান করতে হবে। বসে বা দাঁড়িয়ে না থেকে শুয়ে পড়তে হবে। এমন কিছু প্রাথমিক শর্ত পূরণের পাশাপাশি আক্রান্তকে দ্রুত হাসপাতাল বা চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক।
চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্যের মতে আক্রান্ত ব্যক্তির কয়েকটি প্রাথমিক পরীক্ষা হওয়া জরুরি। যেগুলির মধ্যে রয়েছে ইসিজি, বুকের এক্স-রে, ট্রপোনিন টি বা আই-এর মত পরীক্ষা। যা থেকে এটা পরিস্কার হবে যে ঠিক কি কারণে তাঁর বুকে ব্যথা হচ্ছে।
যদি হৃদরোগের কারণেই হয় তাহলে তাঁর চিকিৎসা শুরু করে দিতে হবে। আর যদি দেখা যায় যে তাঁর হৃদরোগ নয়, বরং হাড় বা পেশির থেকে এই ব্যথা তৈরি হচ্ছে, তাহলে সেইমত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়া শুরু করতে হবে।
আবার হৃদরোগ, হাড় বা পেশিজনিত সমস্যা ছাড়াও অন্য কারণে বুকে ব্যথা তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সমস্যার চিকিৎসা শুরু হবে। তবে বুকে ব্যথা হলে টালবাহানা করা একেবারেই উচিত নয় বলে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য। যিনি নিজেই একজন অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁর মতে, ঠিক কি জন্য ব্যথা তা জানা গেলে উদ্বেগ কমে। অজানা ভীতি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
প্রভাত ভট্টাচার্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক। সারাদিনে বহু রোগীর ভিড় সামলাতে হয় তাঁকে। অনেক রোগীর কাছেই তিনি ধন্বন্তরি চিকিৎসক। হৃদরোগ ছাড়াও ডায়াবেটিস বা মধুমেহ বা সহজ করে বললে সুগারের চিকিৎসায় তাঁর বিশেষ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আপাতত কলকাতায় ৩টি জায়গায় তাঁর চেম্বার রয়েছে। শ্যামবাজারের সেরাম পলিক্লিনিকে শুক্র ও রবিবার বাদে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় তাঁকে পাওয়া যায়। এছাড়া সিঁথির মোড়ের মীরা পলিক্লিনিকে শুক্র ও রবিবার বাদে প্রতিদিন বেলা ১২টায় বসেন তিনি। তাঁকে লেকটাউনের সিগমা-তে পাওয়া যায় প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনিবার বেলা ১১টায়।
চিকিৎসক প্রভাত ভট্টাচার্য, এমডি, মেডিসিন, কার্ডিওলজি ও ডায়াবেটোলজি, মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপ – ৮৭৭৭০৫২০২২