অল্প বয়সেই দুর্বলতা গ্রাস করছে, বুড়ো মনে হচ্ছে, কি করলে মুক্তি পাবেন
এমন কোনও বয়স নয়, কিন্তু সেই বয়সে বয়স্কদের মত দুর্বলতা গ্রাস করবে। কিন্তু সেটাই হচ্ছে। সেটাই বাড়ছে। এর পিছনে রয়েছে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। বলছে গবেষণা।

৪০ বছর বা তার চেয়ে সামান্য বেশি। এই বয়সেই খুব দুর্বল লাগে কি? যদি লাগে তবে তা ৩টি প্রধান বিষয়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। অন্তত একটি গবেষণা সেটাই দাবি করছে। গবেষণাটি অনেক স্বেচ্ছাসেবককে পর্যবেক্ষণ করে তৈরি হয়েছে।
৪০ বছর তেমন একটা বয়স নয় যে এই বয়সে কারও দুর্বল লাগতে শুরু করবে যা বার্ধক্যের দিকে ঠেলে দেয়। ৪০-এ মধ্যবয়স। তখন যথেষ্ট কর্মক্ষমতা মানুষের থাকে। তাহলে কেন অনেকের ৪০ বছরেই দুর্বল লাগতে শুরু করে? একটি গবেষণা এর উত্তর খুঁজে বার করেছে।
গবেষণায় ৩টি প্রধান কারণ সামনে এসেছে। একটি হল একাকীত্ব। একাকীত্বের ভাবনা থেকে খুব দ্রুত এমন দুর্বলতা গ্রাস করতে পারে। মধ্যবয়সেই একাকীত্ব মনে থাবা বসালে তা ৪০ বছরেই মানুষের শরীরে দুর্বলতা এনে দিতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ হল বয়স হয়ে যাচ্ছে এই ভাবনা। এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক দিক। অনেক মানুষের ৪০ পার করলেই মনে হতে থাকে তিনি বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন। বার্ধক্য তাঁকে গ্রাস করছে। তিনি আর সেই যুবকটি নেই।
তৃতীয়ত অনেকের মনে হয় তাঁর শরীরে বয়সের আগেই বার্ধক্য থাবা বসিয়েছে। তাঁর মনে হতে থাকে তাঁর শরীরে বয়সের আগেই বার্ধক্য বাসা বেঁধেছে। এটাও একটা মানসিক বিষয়।
এই ৩টি কারণের ১টিও যদি কোনও ৪০-এর ঘরে থাকা ব্যক্তির মনে দৃঢ়ভাবে ছাপ ফেলে তবে তাঁর দুর্বল মনে হতেই পারে। এই ভাবনাগুলো সামাজিক একাকীত্ব থেকে আসতে পারে।
আর তা হলে কিন্তু বার্ধক্যের আগের দুর্বলতা জনিত সমস্যা বাড়তেই থাকবে। শরীর শক্তি, এনার্জি হারাবে। এমনকি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও এর ফলে কমে যাবে।
বয়স যে একটা নম্বর মাত্র, ৪০ পার করা মানেই বয়স হয়ে যাওয়া নয়, এটা যদি কেউ বিশ্বাস করতে পারেন, বয়স নিয়ে ভাবনাচিন্তা যদি তাঁকে গ্রাস না করে, তবে তিনি কিন্তু অনেক ভাল থাকতে পারেন বলেই মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার ফ্লিন্ডার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা