Health

মাস্ক ব্যবহারে আরও এক সুবিধার কথা জানালেন বিজ্ঞানীরা

বিশ্বজুড়ে অনেকেই এখন নিয়মিত মাস্ক পরে বাইরে বার হওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। এই মাস্ক পরার আরও একটি চমকপ্রদ গুণের কথা জানালেন গবেষকরা।

নিউ ইয়র্ক : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে মাস্ক। মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে এক পাও এখন রাখা যাবে না। অথচ একবছর আগেও মাস্ক যে মানুষের জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠবে তা কল্পনাও করা যায়নি।

তবে প্রাণ বাঁচানোর স্বার্থেই দায়ে পড়ে মুখ ঢাকতে হয় মাস্কে। প্রয়োজনীয়তার সাথে তাল মিলিয়ে ফ্যাশনের অঙ্গ হয়ে নানা ধরনের, রকমারি ডিজাইনের মাস্ক এখন সকলেই অল্প বিস্তর ব্যবহার করছেন।


মাস্ক নিয়ে অভিযোগেরও কমতি নেই। অনেকক্ষণ ধরে একটানা মাস্ক পরে থাকলে মুখে ঘামের সৃষ্টি হয়। যা অনেকের কাছে বিরক্তির কারণ। আবার শ্বাস নেওয়ার সময় নাক ও মুখের ঢাকা অংশকে অতিরিক্ত আর্দ্র করে দেয় মাস্কের আবরণ। যা অস্বস্তির সৃষ্টি করে।

কিন্তু নতুন একটি গবেষণায় উঠে এল অবাক করা তথ্য। মাস্ক পরে থাকাকালীন শ্বাস নেওয়ার সময় মুখের চারপাশ বাইরের আবহাওয়ার চেয়ে বেশি আর্দ্রতা থাকে। আর এই আর্দ্রতা মাস্ক পড়ার মতই কোভিড-১৯ –এর সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।


বায়োফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, শ্বাস নেওয়ার সময় অতিরিক্ত মাত্রায় আর্দ্রতা করোনার সংক্রমণ কমায়। কারণ শ্বাসনালীতে আর্দ্রতা মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

বেশি মাত্রায় আর্দ্রতা ফ্লু-এর তীব্রতা হ্রাস করে। তেমনই এটি কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ ডাইজেসটিভ অ্যান্ড কিডনি ডিজিজের অ্যাড্রিয়ান ব্যাক্স।

৪ ধরনের মাস্ক নিয়ে গবেষণাটি করা হয়েছিল। এন-৯৫ মাস্ক, ত্রিস্তরীয় ডিসপোজেবল সারজিক্যাল মাস্ক, দ্বিস্তরীয় সুতির মাস্ক আর মোটা সুতির মাস্ক। গবেষণাটি করা হয় এক স্বেচ্ছাসেবককে একটি বদ্ধ ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে।

গবেষণায় দেখা গেছে এই ৪ ধরনের মাস্কেই নিঃশ্বাসের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কম তাপমাত্রায় সবকটি মাস্কের আর্দ্রতা তৈরির ক্ষমতা বেড়েছে। তবে সবরকম তাপমাত্রাতেই সুতির নয় এমন মাস্ক সবচেয়ে বেশি আর্দ্রতা বাড়াতে পেরেছে।

সব মিলিয়ে মাস্ক যেমন করোনার ভাইরাসকে শরীরে প্রবেশে বাধা দেয়, তেমনই আবার তার আর্দ্রতাও করোনা রোধে বিশেষ উপকারি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article
Back to top button