SciTech

ভারতের ঐতিহাসিক সাফল্য, জিস্যাট-১৯-কে নিয়ে মহাকাশে পৌঁছে দিল ‘ফ্যাটবয়’

ভারতীয় সময় বিকেল ৫টা ২৮ মিনিট। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশে পাড়ি দিল ‘ফ্যাটবয়’। বিজ্ঞানীদের ভাষায় জিএসএলভি এমকে-৩। দুরুদুরু বুকে সব বিজ্ঞানীর চোখ তখন মনিটরে। নির্ভুল অঙ্ক। সেকেন্ড মিলিয়ে ফ্যাটবয় থেকে বেরিয়ে এল জিস্যাট-১৯ উপগ্রহ। ১৬ মিনিটের মধ্যে ডানা মেলল নির্দিষ্ট কক্ষে। উৎক্ষেপণ সফল। আনন্দে একে অপরকে তখন অভিনন্দন জানানোর পালা। হবে নাই বা কেন! এই প্রথম এমন এক দৈত্যাকার রকেট মহাকাশে পাঠাল ইসরো।

১৩ তলা বাড়ির সমান রকেটটির ওজন ৬৪০ টন! ২০০২ সাল থেকে রকেটটি তৈরি শুরু করেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। ১৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই দৈত্যাকার রকেট জিএসএলভি এমকে-৩-এর পোশাকি নাম ‘ফ্যাটবয়’। যা এদিন ৩ হাজার ১৩৬ কেজি ওজনের উপগ্রহ জিস্যাট-১৯-কে নিয়ে উড়ে গেল মহাকাশে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যুগান্তর আনবে এই নয়া উপগ্রহ। আগামী ১০ বছর নিরলস পরিশ্রম করবে এটি। এতদিন ভারতকে ভারী উপগ্রহ মহাকাশে পাঠানোর জন্য বিদেশি রকেটের ওপর ভরসা করতে হত। সেই ভরসা এদিন দূর হল। নিজেদের ক্ষমতায়, নিজেদের প্রযুক্তিতে মহাকাশে ভারী রকেট পাঠাতে সক্ষম হলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। ভারতের এই ঐতিহাসিক সাফল্যে বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানান ইসরোর চেয়ারম্যান এ এস কিরণ কুমার। এই রকেটের যা আকৃতি তাতে আগামী দিনে ভারত চাইলে এতে মানুষও পাঠাতে পারে মহাকাশে। এদিনের সাফল্যে ইসরোর বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *