শখের বাগান খুঁড়তেই বেরিয়ে এল কুবেরের ধন
একটা সুইমিং পুল হলে ভাল হয়। এটা ভেবে বাড়ির বাগানের একটা অংশ খুঁড়ে ফেলেন এক ব্যক্তি। তারপরই হল চমৎকার। বেরিয়ে এল কুবেরের ধন।
ধনসম্পদ যেন আদপে একটা ম্যাজিক। এই আছে এই নেই। অনেকসময় অপ্রত্যাশিতভাবেই মানুষের ধনসম্পদ প্রাপ্তি হয়। আর তাতে এক লহমায় ফকিরও হয়ে ওঠেন রাজা। তবে এর উল্টোটাও কিন্তু হয়।
সম্প্রতি এক ব্যক্তির জীবনে রূপকথার গল্প সত্যি হয়েছে। নিজের চোখকে নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। বাড়ির পিছনের বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি সোনার বাট এবং প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় ৭ কোটি ১০ লক্ষ টাকার মতন।
গল্পটা তাহলে খুলেই বলা যাক। ফ্রান্সের নিউভিল-সার-সোন শহরের বাসিন্দা লুই নিজের বাড়িতে একটি সুইমিং পুল বানাতে চেয়েছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিজের বাড়ির পিছনের বাগানে মাটি খোঁড়া শুরু করেন। তাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়।
মাটি কিছুটা খোঁড়ার পরেই তাঁর হাতে একটি প্লাস্টিক উঠে আসে। যাতে ছিল কিছু ধাতব বস্তু। প্লাস্টিকটি খোলার পর ভিতরে থাকা সোনার বাট এবং মুদ্রাগুলি দেখে লুই হতবাক হয়ে যান। বুঝতে পারেন ভাগ্যদেবী তাঁর প্রতি প্রসন্ন হয়েছেন।
নিজের বাড়িতে এমন কুবেরের ধনের সন্ধান পেয়ে লুই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রশাসনের তরফে সোনা পরীক্ষা করার পর জানানো হয় এগুলি একসময় বৈধভাবেই কেনা হয়েছিল এবং এর কোনও প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্যও নেই।
স্থানীয় প্রশাসন আরও জানায়, প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর আগে একটি শোধনাগার থেকে সোনা গলিয়ে তাকে বাট এবং মুদ্রার আকার দেন কোনও ব্যক্তি। তাই এটি ব্যক্তিগত সম্পদ।
বর্তমানে লুই খোঁজ পেয়েছেন বলে তিনিই এর মালিক। ভাগ্যিস কেউ লুইয়ের বাগানে এমন বহুমূল্য ধন পুঁতে রেখেছিলেন! তবে না তিনি রাতারাতি এমনভাবে কোটিপতি হয়ে গেলেন।













