তরুণী ভয়ে পারলেননা, অবশেষে তাঁর হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ডেলিভারি করল পুলিশ
এক তরুণী অর্ডার মত ডেলিভারি দিতে এসেছিলেন নির্দিষ্ট ঠিকানায়। কিন্তু ভয়ে বাড়ির কাছে ঘেঁষতে পারলেননা। তাঁর হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ডেলিভারি দিয়ে এলেন পুলিশ আধিকারিক।

পিৎজার অর্ডার এসেছিল একটি বাড়ি থেকে। পিৎজা ডেলিভারি করতে হবে। এক তরুণী পিৎজা ডেলিভারির কাজ করেন। তাঁর দায়িত্ব পড়ল সেই পিৎজা নির্দিষ্ট ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়ার।
পিৎজা নিয়ে সেই ঠিকানায় পৌঁছেও গেলেন তরুণী। কিন্তু বাড়ির সদর দরজার দিকে একটু এগিয়েই তিনি কার্যত ভয়ে পিছিয়ে এলেন। শুধু পিছিয়ে এলেন নয়, পুলিশও ডাকলেন।
পুলিশ নিমেষে সেখানে উপস্থিত হয়ে বুঝতে পারে ওই তরুণীর আতঙ্কের কারণ। ওই তরুণী কেন পুলিশের পক্ষেও এই বাড়ির দরজার দিকে ঘেঁষা সম্ভব নয়। কিন্তু পিৎজা তো ডেলিভারি করতেই হবে। এটাই তো কাজ।
একজন ক্ষুধার্ত মানুষ সেটি অর্ডার যখন করেছেন, তখন তাঁকে সেটা পৌঁছে দেওয়া কর্তব্য। অগত্যা আতঙ্কিত ওই তরুণীর হাত থেকে সেই পিৎজা নিয়ে নিলেন পুলিশ আধিকারিক।
এবার দেওয়ার পালা। কিন্তু দেবেন কীভাবে? দরজার সামনেই শুয়ে আছে একটি ৮ ফুটের কুমির। পুলিশ বলে তো আর কুমির ছেড়ে দেবেনা! ফলে পুলিশ আধিকারিক ওই বাড়ির মহিলাকে তাঁর প্রতিবেশি মারফত পিছনের গেটটি খুলতে বললেন।
বাড়ির পিছনের গেটে এরপর পিৎজা হাতে পৌঁছে যান ওই পুলিশ আধিকারিক। মহিলার হাতে সেটি তুলেও দেন। তারপর টাকা নিয়ে ফিরে আসেন।
পুরো বিষয়টি ওই পুলিশ আধিকারিকের শরীরে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফ্লোরিডায়। ফ্লোরিডায় জনবসতিতে কুমির ঢুকে আসা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এই পিৎজা ডেলিভারির ঘটনা অনেক সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশিত হয়।