World

১৬ বছর বয়সে ১ দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে কিশোরী

মাত্র ১৬ বছর বয়সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসার সুযোগ পেল এক কিশোরী। বিশ্বজুড়ে এই খবর নিয়ে হৈচৈ পড়ে গেছে।

Published by
News Desk

হেলসিঙ্কি : বলিউডের নায়ক সিনেমাটা মনে আছে। যেখানে এক সাংবাদিককে ১ দিনের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার সুযোগ দেওয়া হয়। ওটা কাল্পনিক সিনেমা হতে পারে কিন্তু বাস্তবেও এমন ঘটনা ঘটল। এক ১৬ বছরের মেয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার সুযোগ পেল।

তাকে ১ দিনের জন্য আসন ছেড়ে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। যিনি নিজেও একজন মহিলা এবং তাঁর রেকর্ড হল তিনিই হলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। সেই সানা মারিন নিজেই জায়গা ছেড়ে দিলেন পরিবেশ ও মানবাধিকার নিয়ে আওয়াজ তোলা ১৬ বছরের মেয়ে আভা মুর্তো-কে।

১৬ বছর বয়সেই ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতে পারা আভার কাছে স্বপ্নের মত লেগেছে। লিঙ্গ বৈষম্যে ইতি টানতে একটি উদ্যোগ শুরু হয়েছে। ‘গার্লস টেকওভার’ শীর্ষক এই উদ্যোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কিশোরীদের ১ দিনের জন্য বিভিন্ন সময়ে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বসানো হবে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন শীর্ষ পদেও তারা বসার সুযোগ একদিনের জন্য পাবে। যা দিয়ে বিশ্বজুড়ে নারী শক্তির বিকাশের পথ প্রশস্ত হবে।

চলতি বছরে জোর দেওয়া হচ্ছে মেয়েদের ডিজিটাল স্কিল ও প্রযুক্তিগত সুযোগের ক্ষেত্রে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কেনিয়া, পেরু, সুদান ও ভিয়েতনামে।

১ দিনের জন্য ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার পর আভা জানিয়েছে, বিষয়টি বেশ খানিকটা মিটলেও এখনও বিশ্বের সর্বত্রই লিঙ্গ বৈষম্য রয়েছে। তা মেটাতে এখনও কাজ করতে হবে।

মারিন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন গত বছর। তখন তাঁর বয়স ছিল ৩৪ বছর। ৪ দলের জোট ফিনল্যান্ডে সরকার গড়ে। সেই জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন সানা মারিন।

যে ৪টি দলের জোট ফিনল্যান্ডে এখন শাসন করছে তার সবকটি দলেরই প্রধান একজন মহিলা। আর তাঁদের মধ্যে ৩ জনেরই বয়স ৩৫ বছরের কম।

নারী শক্তির বিকাশের ক্ষেত্রে এই শাসক জোটকে এক আদর্শ উদাহরণ মানছেন অনেকে। যারা আগামী দিনে বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ বৈষম্য মোছার কাজও জোরকদমে করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk
Tags: Finland

Recent Posts