উগান্ডার গ্রাম, ফাইল ছবি
মেয়েরা ছোট থেকে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সৌন্দর্যের দিকেও নজর বাড়ান। ঠোঁটের সৌন্দর্যের জন্য বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতেই লিপস্টিক ব্যবহার করেন সব বয়সের মহিলারা।
একটি জনজাতির মহিলারাও ঠোঁটের সৌন্দর্য নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। তাঁদের মধ্যে কোনও মেয়ে ১৬ বছর বয়সে পৌঁছলেই তাই তার ঠোঁট সাজানোর সময় হয়।
এই সাজে তাকে সাহায্য করেন বয়স্ক মহিলারা। পরিবারের বয়স্ক মহিলারা তার ঠোঁটের একটা অংশ প্রথমেই কেটে দেন। তারপর সেখানে একটি কাঠের চাকতি লাগিয়ে দেন। অবশ্যই এই কাটা অংশ একদিনেই ঠিক হয়ে যায়না। তার সেরে উঠতে একটা সময় লাগে।
তার ঠোঁটের কাটা অংশ একদম ঠিক হয়ে গেলে প্রয়োজনে আরও বড় কাঠের চাকতি লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই চাকতি লাগানো হয় নিচের ঠোঁটে। যা ওই বালিকার নারী হয়ে ওঠার চিহ্ন হয়ে যায়। এরপর তাই ঠোঁটের সৌন্দর্য ও নারীত্ব চিহ্ন হিসাবে ওই চাকতি পরে থাকেন মহিলারা।
ইথিওপিয়ার ওমো উপত্যকার মুরসি মহিলাদের মধ্যে এই প্রবণতা দেখতে পাওয়া যায়। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, এই কাঠের চাকতি ঠোঁটে পরার প্রথা কিন্তু আজকের নয়। ৩০ হাজার বছর আগেও আফ্রিকার কিছু অংশে এই ঠোঁটে চাকতি পরার চল ছিল।
আজও মুরসি সহ কয়েকটি জনজাতির মধ্যে এই রীতি প্রচলিত রয়েছে। অনেক মহিলা আবার প্রথমে কাঠের চাকতি পরলেও পরে ঠোঁট অনেকটা বড় হয়ে গেলে সেখানে সেরামিকের প্লেটও পরে থাকেন।