এমন এক সিনেমা যা চাইলেও দেখা যাবেনা, সিন্দুক খুলে মুক্তি পাবে ২১১৫ সালে
একটি সিনেমা তৈরি করা হয়েছে ঠিকই। কিন্তু এখন যাঁরা জীবিত তাঁরা কেউ এ সিনেমা দেখার সুযোগ পাবেন না। সিন্দুকে সুরক্ষিত এই সিনেমা মুক্তি পাবে ২১১৫ সালে।
কেউ কখনও শুনেছে সিন্দুকের ভিতরে সিনেমা রাখার কথা? এ কিন্তু কোনও সাধারণ সিন্দুক নয়। হাজারো সুরক্ষা থাকা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট চাবির সাহায্যে যে কোনও সিন্দুকই খুলতে পারা যায়। কিন্তু এই সিন্দুক সময়ের বন্ধনে আবদ্ধ।
এটি হল একটি ‘টাইম লক ভল্ট’ বা সময়ে বাঁধা সিন্দুক। এই বুলেটপ্রুফ কাচের সিন্দুকটি রয়েছে ফ্রান্সে। তার ভিতরেই কড়া সুরক্ষায় রাখা আছে একটি নির্দিষ্ট চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে আজ পর্যন্ত তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
টাইম লক ভল্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে না খোলা পর্যন্ত এই চলচ্চিত্র সম্পর্কে কারোর পক্ষেই জানা সম্ভব নয়। ‘হানড্রেড ইয়ারস’ নামে একটি চলচ্চিত্র রয়েছে। ২০১৫ সালে এটি নির্মিত হয়। তবে ২১১৫ সালের আগে সেটি মুক্তি পাবেনা।
২১১৫ সালের ১৮ নভেম্বর চলচ্চিত্রটির মুক্তির দিন স্থির হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় ভল্টটিও সেদিনই খুলবে। শুটিং শেষ হওয়া সত্ত্বেও এর কোনও ট্রেলার দেখা যায়নি। জানা যায়নি এর গল্পও। ধারনা করা হচ্ছে এটি কল্পবিজ্ঞানের উপর নির্মিত একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র।
চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য অত্যন্ত গোপন রাখা হলেও কিছু কলাকুশলীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। এর পরিচালক রবার্ট রড্রিগেজ এবং কাহিনিকার জন মালকোভিচ। অভিনয়ে জন মালকোভিচ, শুয়া চ্যাং, গেডিয়ন মানলুলু এবং মার্কো জারোর।
২১১৫ সালের ১৮ নভেম্বর চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো দেখানো হবে। ২০১৬ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিন্দুকটি প্রদর্শন করা হয়। এরপর একেবারে প্রিমিয়ার শো-এর দিন সেটি সবার সামনে আসবে।













