মিশরিয় কোফতা, ছবি – সৌজন্যে – ফ্লিকার – @Food Stories
বাড়ির বাইরে মাঝেমধ্যে খেতে যেতে তো ভালই লাগে। আবার কোথাও বেড়াতে গেলে সেখানে রেস্তোরাঁয় খাওয়া হয়েই যায়। যাঁরা রেস্তোরাঁ বা ফুডকোর্টে যেতে অভ্যস্ত তাঁরা এগুলির বহর সম্বন্ধে অবহিত। কোনওটা বড় তো কোনওটা একটু ছোট।
কিন্তু একটি ইতিহাসের শহরে না গেলে একটা ফুডকোর্ট কত বড় হতে পারে সে সম্বন্ধে ধারনাও করতে পারবেননা অনেকে। একটু হিসাব দেওয়া যাক।
একটা ফুডকোর্ট ৪১ হাজার বর্গ মিটার জায়গা নিয়ে তৈরি হয়েছে এখানে। ২৫টি কাফে এবং রেস্তোরাঁ রয়েছে সেখানে। যেখানে বহু মানুষ একসঙ্গে বসে খেতে পারেন। এতটাই বিশাল প্রাঙ্গণ ছড়িয়ে আছে।
যেখানে খাবার সেই জায়গায় একসঙ্গে ৪ হাজারের ওপর মানুষ খেতে পারেন। নিজের মত করে সময় কাটাতে পারেন। শুধু কি তাই! ছোটদের খেলার জন্যও জায়গা রয়েছে এখানে।
পরিবার নিয়ে খেতে এসে ছোটদের সেই খেলার জায়গায় কিছুটা সময় কাটাতে দিতেই পারেন অভিভাবকরা। অনেকেই গাড়ি নিয়ে সেখানে খেতে যান। গাড়ি নিয়ে এলেই হল না, গাড়ি রাখার জায়গা দরকার। এখানে খেতে এলে গাড়ি রাখার বন্দোবস্তও রয়েছে। একসঙ্গে ১ হাজার গাড়ি রাখা যায় এই একটা ফুডকোর্টে।
এই ফুডকোর্টের নাম ওয়েসিস। নামটার সঙ্গে মরুভূমির যোগ রয়েছে। আর মরুভূমি এবং ইতিহাস মেলালে পৃথিবীর অন্যতম পর্যটনস্থল হল মিশর। মিশরের রাজধানী শহর কায়রোতেই রয়েছে এই ওয়েসিস ফুডকোর্ট।
২০১১ সালে তৈরি এই ফুডকোর্ট এখন পৃথিবীর সর্ববৃহৎ খাবার জায়গা। যেখানে ৪ হাজারের ওপর মানুষ একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করতে পারেন নিশ্চিন্তে। কায়রোয় অনেক কিছু দর্শনীয়। তারমধ্যে খাবার খেতে গিয়ে ওয়েসিসটাও একটা দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে পর্যটকদের কাছে।