World

মাটির ১৫ মিটার নিচে সুসজ্জিত ঘরে ইতিহাস বদলে দেওয়া নিদর্শন

মাটি খুঁড়ে তো কতকিছুই উদ্ধার হয়। যার গুরুত্ব অনেক সময় অপরিসীম। সেখানেই এবার এমন নিদর্শন মিলল যা বদলে দিল ইতিহাস।

মাটির প্রায় ১৫ মিটার নিচে পাওয়া গেল একটি সুসজ্জিত কক্ষ। ঘরের মধ্যে রয়েছে অনেক রকম পাথরের যানবাহন। আর রয়েছে দেওয়াল জুড়ে প্রচুর খোদাই করা ছবি। যেখানে একজন মানুষের জীবনধারণের প্রয়োজনে যা যা লাগে তা খোদাই করা রয়েছে।

ঘরের মাঝখানে রয়েছে ১টি বিশাল কফিন, যা মিশরে প্রাচীনকালে সারকোফেগাস নামে পরিচিত। এটি সাধারণভাবে লাইমস্টোনের হয়। এর ভিতরে থাকে মমি।

প্রসঙ্গত মিশরে একসময় যখন মমি করে রাখার প্রচলন ছিল তখন কেবল রাজাদেরই নয়, দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তি বা সরকারি উচ্চপদে থাকা ব্যক্তিদেরও মমি করার রেওয়াজ ছিল।

মিশরের বিখ্যাত গিজার পিরামিডের পাশেই মিশরের একদল গবেষক খনন চালিয়ে এবার মাটির ১৫ মিটার নিচ থেকে যে মমিটি উদ্ধার করলেন তা কিন্তু ইতিহাস বদলে দিল। কারণ এতদিন যে মমিটিকে সবচেয়ে প্রাচীন বলে মনে কার হত এটি তার চেয়েও পুরনো।

এটির বয়স ৪ হাজার ৩০০ বছর। তবে এই মমি যাঁকে করা হয়েছিল তিনি মিশরের রাজা ছিলেন না। হেকাশপাস নামে ওই ব্যক্তি ছিলেন রাজার আধিকারিকদের প্রধান।

দেশের প্রথিতযশা মানুষজনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রয়োজন মেটানোর দায়িত্বও ছিল তাঁর ওপর। ইউনাস নামে পিরামিডে ভরা স্থানে তিনি ছিলেন পুরোহিতও। তাঁর এই মমিটি অনেক সোনার পাত দিয়ে মোড়া ছিল।

জাহি হাওয়াস নামে এক পুরাতত্ত্ববিদ এই মমিটির খোঁজ পাওয়ার পর তার বিস্তারিত তথ্যও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। মিশরে মমি আবিষ্কারের ইতিহাসে এ এক অনন্য কীর্তি হয়ে রইল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *