খননকার্য চালিয়ে মিলল আড়াই হাজার বছর পুরনো জিম
আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগেও ছিল সুসজ্জিত জিম। মানুষ সুন্দর চেহারা পেতে সেখানে কসরত করতেন। মূলত অভিজাত লোকজন শরীরচর্চা করতে আসতেন।
কথায় বলে, সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র। শুধু সুন্দর মুখ নয়, সুন্দর চেহারাও মানুষকে আকর্ষণ করে। এযুগের আবালবৃদ্ধবনিতা নিখুঁত দৈহিক গঠনের অধিকারী হতে তাই পা বাড়িয়েছেন জিমের দিকে।
কিন্তু শুধু একালেই নয়, আজ থেকে প্রায় ২৩০০ বছর আগেও ছিল সুসজ্জিত শরীরচর্চাগার। যেখানে মানুষ সুন্দর চেহারা পেতে কতই না কসরত করতেন। মিশরের কায়রো শহর থেকে ৫০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে পাওয়া গেল পৃথিবীর প্রাচীনতম জিম।
জার্মান ও মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের যৌথ উদ্যোগে মিশরের ওয়াতফা অঞ্চলে খনন করে পাওয়া গেছে জিমটি। খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে রাজা দ্বিতীয় টলেমীর উদ্যোগে জিমটি নির্মাণ করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই জিমগুলিতে মূলত অভিজাত লোকজন শরীরচর্চা করতে আসতেন। তবে ব্যায়াম ছাড়াও সেখানে গ্রিক সাহিত্যপাঠ, লেখালেখি, দর্শন চর্চা ও বিভিন্ন রকমের খেলাধুলাও করা হত।
বিভিন্নরকম মূর্তি দিয়ে সাজানো স্থানটিতে একটি বিশাল হলঘরের সন্ধান পাওয়া গেছে। যেখানে সাধারণত নানা বিষয়ের ক্লাস করানো হত। আয়োজন করা হত গুরুত্বপূর্ণ সভা। স্থানটিতে ২০০ মিটার লম্বা দৌড়নোর পথ পাওয়া গেছে। যার চারদিক বাগান দিয়ে ঘেরা ছিল।
জায়গাটিতে শুধু শরীরচর্চা হত এমনটাই নয়, সেটি তখনকার যুবকদের কাছে গ্রিক ভাষা চর্চার অন্যতম পীঠস্থান ছিল বলে ঐতিহাসিকদের অভিমত।
শুধু ইউরোপই নয়, ইউরোপের বাইরেও যে গ্রিক সভ্যতা তার নিজস্বতা নিয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করেছিল, এই আবিষ্কার তারই প্রমাণ দেয়। জিমের স্থাপত্য ও ভাস্কর্যে গ্রিক ও মিশরীয় শৈলীর সংমিশ্রণ প্রত্নতাত্ত্বিকদের বিশেষ করে নজর কেড়েছে।