World

২৬০০ বছরের পুরনো গোপন সমাধি থেকে উদ্ধার ৩৪টি মমি

এই সমাধির আবিষ্কার এক অনন্য আবিষ্কার বলেই মনে করা হচ্ছে। সমাধি থেকে যে ৩৪টি মমি উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের দেহ।

ওপরে বালি আর বালি। তার তলায় সমাধি। সেই সমাধি ধরে নিচে নামতে পাওয়া যায় ২টি চেম্বার। যা দেওয়াল দিয়ে ঢাকা ছিল। সেই চেম্বারের একটির মধ্যে মিলল ৩০টি মমি। অন্য চেম্বারে মিলল ৪টি মমি।

একটি মমিতে আবার ২ জন মানুষ একসঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন। যা থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা মা ও তাঁর সন্তানকে একসঙ্গে রেখে এভাবে মমি করা হয়েছে।


মিশরের আশওয়ান শহরে এমনই এক সমাধির খোঁজ পেলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। এ এক আবিষ্কারও। কারণ প্রত্নতত্ত্ববিদরা দাবি করছেন এই সমাধি ক্রমশ তৈরি হয় ফারাওনিক যুগের শেষ থেকে গ্রিকো-রোমান যুগের মধ্যে। অর্থাৎ খ্রিস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগে থেকে খ্রিস্টের জন্মের ৪০০ বছর পরের মধ্যে।

সমাধি থেকে যে ৩৪টি মমি উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের দেহ। সযত্নে সেগুলি মমি করে রাখা। এই সমাধির গায়ে হায়ারোগ্লিফিক লেখনী থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদদের অনুমান এটি সে সময়ের কোনও ধনী ব্যবসায়ীর।


সমাধির মধ্যে মমি ছাড়াও মিলেছে অনেক মাটির তৈরি জিনিস, কাঠের মূর্তি, রং করা মুখোশ, বিটুমিনের পাত্র। এছাড়া স্ট্রেচার জাতীয় জিনিসও মিলেছে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা এই স্ট্রেচার জাতীয় জিনিসে করেই দেহ এখানে নিয়ে আসা হত।

এই সমাধির আবিষ্কার এক অনন্য আবিষ্কার বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মিশর জুড়ে এমন আরও গুপ্ত সমাধি লুকিয়ে রয়েছে। যার খোঁজ চলছে। এই সমাধির আবিষ্কর্তারাই আরও নতুন সমাধির খোঁজ শুরু করেছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button