World

স্কুলের মেয়েদের জবরদস্তি বিয়ে, শুকিয়ে যাচ্ছে মাটি, এ কোন পথে পৃথিবী

যা সামনে আসছে তাতে রাতের নিশ্চিন্ত ঘুমটা সহজেই উড়ে যেতে পারে। মেয়েদের স্কুল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অন্ধকারে ডুবছে হাসপাতাল।

অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে হাসপাতাল, বিরল প্রজাতির ডলফিনদের নিথর দেহ ভেসে ভেসে উঠছে জলে, স্কুল পড়ুয়া বালিকাদের তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কোথাও আবার ভুট্টার ক্ষেতে কমেছে ৭০ শতাংশ ফলন।

স্পেনে অলিভ তেলের ক্ষেতের হালও এক। ফলে দ্বিগুণ হয়ে গেছে অলিভ তেলের দাম। মরক্কোর বিখ্যাত ভেড়াদের সংখ্যা ৩ শতাংশ কমেছে। আফ্রিকা মহাদেশের দক্ষিণ অংশের ৯ কোটি মানুষ প্রবল খিদে ও অনাহারের শিকার।

জিম্বাবোয়েতে ৯ হাজার গৃহপালিত পশুর জীবন গেছে। জাম্বিয়া বিদ্যুতের অভাবে অন্ধকারে ডুবে থাকে। আর এমন উদাহরণ লিখে শেষ হওয়ার নয়। এসব কিছুর কারণ কিন্তু একটাই। খরা ও জলাভাব। পৃথিবী শুকিয়ে যাচ্ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে অনেক নদী।

শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেত জমি। ভয়ংকর খরা গ্রাস করছে দেশের পর দেশ। আফ্রিকার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। জলবিদ্যুৎ উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে। নদীই যদি শুকিয়ে যায়, তাহলে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হবে কীভাবে!

রাষ্ট্রসংঘে পেশ হওয়া একটি রিপোর্ট বলছে এটাও কিছু নয়। অদূর ভবিষ্যতে আরও ভয়ংকর হতে চলেছে পরিস্থিতি। এল নিনোর প্রভাব, দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকা বিশ্ব উষ্ণায়ন ক্রমশ জল কমিয়ে দিচ্ছে।

পৃথিবীকে যেমন উত্তপ্ত করে তুলছে, তেমনই মানুষ ও অন্য পশুপাখিদের জীবন যুদ্ধকে আরও কঠিন করছে। বিশ্ব উষ্ণায়নে লাগাম অবিলম্বে পরাতে না পারলে কিন্তু একটা সময় পৃথিবীর সিংহভাগ নদীর জলই প্রায় শুকিয়ে যাবে।

ফসলের জন্য সুজলা মাঠ আর থাকবেনা। পড়ে থাকবে শুধু শুকনো মাটির অনন্ত প্রান্তর। যে মাটি এক বিন্দু জলের জন্য হাহাকার করবে। ফেটে চৌচির হয়ে খরার জন্ম দেবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *