SciTech

হারিয়ে যেতে বসা পর্দা ফিরে পাবে পৃথিবী, লাগবে ৫০ বছর

হারিয়ে যেতে বসা পর্দা কি চিরদিনের মত হারিয়ে যাবে? বিশেষজ্ঞেরা কিন্তু মনে করছেন তা হবেনা। বরং আগামী ৫০ বছরের মধ্যে তা ফের ফিরে পাবে পৃথিবী।

এই পৃথিবী, মানবসভ্যতা, গাছপালা, জলবায়ু সবই নষ্ট হয়ে যেতে পারে পৃথিবীর আকাশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্দাটা নষ্ট হয়ে গেলে। সেই নষ্টের পালা শুরুও হয়ে গেছে অনেক আগে থেকে।

অথচ সেটাই পৃথিবীর অন্যতম রক্ষাকবচ। মানুষের বেঁচে থাকার রক্ষাকবচ। সেই পর্দায় এখানে ওখানে ফুটো তৈরি হয়েছে। ফুটো ক্রমশ বড় হচ্ছে।

আর তা যত বড় হচ্ছে ততই পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ছে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি। যার সরাসরি স্পর্শ মানুষের শরীরে নানা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। নষ্ট করে দিতে পারে মানবসভ্যতাকে।

সেই অতিবেগুনি রশ্মি থেকে শুরু করে পৃথিবীর জলবায়ুকে রক্ষা করে চলেছে ওজোন স্তর। যা কার্যত পৃথিবীর জন্য এক রক্ষা পর্দা।

সেই ওজোন স্তরে ফুটো হতে শুরু করেছে। তা বড়ও হচ্ছে। যা নিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে বিশেষজ্ঞদের। তবে এত চিন্তার মধ্যেও একটা আশার আলো দেখাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

তাঁদের মতে, এই ওজোন স্তরে ফুটো কিন্তু ঠিক হয়ে যাবে। এজন্য এখনও প্রায় ৫০ বছর অপেক্ষা করতে হবে। শরীরে যেমন ভাবে কাটাকুটি ক্রমে সেরে গিয়ে চামড়া আগের মত হয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই ওজোন স্তরও তার ফুটো সারিয়ে আবার আগের মত ঠিক হয়ে যাবে।

এজন্য অবশ্য ১৯৮৭ সালে বিশ্বজুড়ে নেওয়া একটি সিদ্ধান্তকে স্যালুট জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ক্লোরোফ্লুরোকার্বন বা সিএফসি যা ফ্রিজ, ড্রাই ক্লিনিংয়ের মত যন্ত্র থেকে নির্গত হত তা বিশ্বজুড়ে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মন্ট্রিয়ল প্রোটোকলে। তারই সুফল পাওয়া যাবে এখন থেকে ৫০ বছর পর। ফুটোফাটা সারিয়ে ফের আগের অবস্থায় ফিরে যাবে ওজোন স্তর।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *