![Dussehra](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2018/10/dussehra.jpg)
বিকেল নামার অপেক্ষা। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাবণ দহন শুরু হয়ে যায়। এটাই পরম্পরা। এটাই দশেরার মূল আকর্ষণ। এদিনই রাবণকে বধ করেন শ্রীরামচন্দ্র। রাবণ বধের সেই মুহুর্তকে প্রতি বছর দশেরা হিসাবে পালন করে থাকেন ভারতবাসী। এদিন পাটনা, মহীশূর, দিল্লি, অমৃতসর, আজমের, লখনউ, জয়পুর থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি কোণায় দশেরা পালিত হয়েছে ঐতিহ্য মেনেই। রাম সেজে ছোঁড়া তির গিয়ে লেগেছে কুম্ভকর্ণ, ইন্দ্রজিৎ এবং সবশেষে দশাননের অতিকায় পুতুলে। আর তাতেই হয়েছে প্রতীকী রাবণবধ। আতসবাজি ও অন্যান্য দাহ্য বস্তু জ্বলে উঠেছে দাউদাউ করে। দর্শকদের বিশাল ভিড় উল্লাসে চেঁচিয়ে উঠেছে জয় সিয়ারাম, জয় সিয়ারাম! সে ধ্বনি গুঞ্জরিত হয়েছে বিশাল ময়দান চত্বর জুড়ে। এদিন দিল্লিতে লবকুশ রামলীলায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী প্রতীকী তির ছুঁড়ে রাবণ দহন করেন।
অন্যদিকে দিল্লির অন্য এক অনুষ্ঠানে রাবণ দহনে অংশ নেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এখানেও রাবণ দহনের জন্য তির ধনুক হাতে তুলে নেন রাহুল গান্ধী ও মনমোহন সিং। শুধু দিল্লি বলেই নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন পারম্পরিক রীতি মেনেই রাবণ দহন অনুষ্ঠিত হয়। তবে দশেরার সন্ধের আনন্দের তাল কাটল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। অমৃতসরের কাছে রেল লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে রাবণ দহন দেখার সময় দুরন্ত গতির রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু হল বহু মানুষের।