এ দৃশ্য সচরাচর দেখা যায়না। বরং একটা ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত শহরকেই শারদ একাদশীতে দেখে অভ্যস্ত কলকাতার মানুষ। যাঁদের ছুটি থাকে তাঁরা বাড়িতেই খেয়ে দেয়ে বিশ্রাম নেন। আর যাঁদের নেহাত বার হতে হয় তাঁরা ক্লান্ত দেহটাকে কার্যত বয়ে নিয়ে যান অফিসে। কেন? কেননা পুজোর দিনগুলোয় দেদার আনন্দ উপভোগের একটা ধকল আছে। যা পুজোর মেজাজে তেমন উপলব্ধি হয়না। টের মেলে বিজয়াটা কাটলে। দুনিয়ার ক্লান্তি যেন পেয়ে বসে শরীরটাকে। গায়ে হাত পায়ে ব্যথা ব্যথা ভাব। হাল্কা খেয়ে বিছানায় চুপচাপ পড়ে থাকতে পারলে আর কিছু চায়না দেহ। তাহলে এবার কী হল! এবার একাদশীতে মহরম। ফলে ছুটি। এদিকে এবার মহরম থাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞায় বিজয়াতেও ভাসান হয়েছে নামমাত্র। একাদশীতে ভাসান নেই। এমন সুযোগ প্রতিবছর মেলেনা। তাই না দেখা ঠাকুরগুলো দেখে নেওয়ার একটা বাড়তি সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি অনেকেই। এমনিতেই নবমী মাটি করেছে বৃষ্টি। ফলে প্ল্যান থাকলেও বাড়ি থেকে বার হতে পারেননি অনেকে। সেটাই সুদে আসলে পুষিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগটাকে কাজে লাগাতে তাই একাদশীর সকাল থেকেই মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ঢল নামে। চলে প্যান্ডেল হপিং। খাতায় কলমে পুজো শেষ হলেও তাই পুজোর রেশ থেকে যায়। চেটেপুটে শেষ মুহুর্তের খুশিটুকু উপভোগ করে নিতে চান মানুষ।
Read Next
March 19, 2024
ফের রাজ্য পুলিশের ডিজি বদল, এক বঙ্গসন্তানের হাতে দায়িত্ব সঁপল কমিশন
March 18, 2024
ডিজি রাজীব কুমারকে সরিয়ে নতুন ডিজি বেছে নিল নির্বাচন কমিশন
March 15, 2024
গন্তব্যে পৌঁছতে এক রোমহর্ষক সফর উপভোগ করলেন কলকাতাবাসী
March 14, 2024
মাথায় ৪টি সেলাই, রাতে মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় বাড়ি ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী
Related Articles
Comments