Lifestyle

মহিলাদের হাতে বেত পেটা খেতে দূর দূরান্ত থেকে পুরুষরা হাজির হন এই শহরে

মহিলাদের হাতে বেত পেটা খেতে কোনও পুরুষের কি ভাল লাগতে পারে? এখানে কিন্তু সেটাই লাগে। অবশ্যই এই বেতের আঘাতের পিছনে রয়েছে মিষ্টি ইচ্ছা।

Published by
News Desk

রাত নামলে মহিলারা আর বাড়িতে থাকেন না। সে তিনি কুমারী হোন বা বিবাহিতা, এমনকি বিধবা মহিলারাও বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়। কিন্তু তাঁকে দেখে চেনার উপায় থাকে না। নানা সাজে তাঁরা রাস্তায় নামেন।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা দেবদেবীর সাজে রাতের শহরে ঘুরে বেড়ান হাতে ছড়ি নিয়ে। আর রাস্তায় কোনও পুরুষ দেখলেই তাঁকে ওই ছড়ি দিয়ে মারেন। বিশেষত অবিবাহিত পুরুষদের তো কোনও ছাড় নেই। তাঁদের মহিলাদের হাতে বেত পেটা খেতেই হবে।

এখন এটা মনে হতেই পারে যে যেচে কেন মার খেতে গভীর রাতে রাস্তায় বার হন পুরুষরা? এর পিছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে। সেই কারণে বেত পেটা খেতে ওইদিন দূর দূরান্ত থেকেও বহু পুরুষ রাজস্থানের যোধপুর শহরে হাজির হন।

চৈত্র মাসে যোধপুরে পালিত হয় ধিঙ্গা গাওয়ার উৎসব। ১৬ দিন ব্যাপী এই উৎসবে মূলত পার্বতীর পুজো হয়। এ উৎসব যেন মহিলাদের ক্ষমতায়নের উদযাপন। যা চলে আসছে বহুবছর ধরে।

ধিঙ্গা গাওয়ার-এর মূর্তি পুরনো যোধপুর শহরের ১১টি স্থানে বসানো হয়। মূর্তিকে সোনার গয়নায় মুড়ে দেওয়া হয়। রাতে এই মূর্তিকে রক্ষা করতেই অন্য সাজে মহিলারা সারা শহরে রাতে ঘুরে বেড়ান।

এটা মনে করা হয় মহিলারা নানা সাজে ঘোরার সময় তাঁদের হাতে থাকা ছড়ি যদি কোনও অবিবাহিত পুরুষকে আঘাত করে তাহলে সেই পুরুষের খুব দ্রুত বিয়ে হয়ে যায়। এই বিশ্বাস থেকে এখনও অবিবাহিত পুরুষরা অনেক দূর থেকে যোধপুরে হাজির হন রাতের রাজপথে মহিলাদের ছড়ির বারি খাওয়ার জন্য।

Share
Published by
News Desk
Tags: Lifestyle