১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে দিল্লি সহ বিভিন্ন এলাকায় যে শিখ বিরোধী হিংসার ঘটনা ঘটে সেই ঘটনায় কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সজ্জন কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। মামলার প্রেক্ষিতে এদিন রায় দান করতে গিয়ে আদালত এই হিংসাকে ‘মনুষ্যত্বের বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে ব্যাখ্যা করে। এদিকে সজ্জন কুমারের মত দলের এমন এক প্রবীণ নেতার যাবজ্জীবন অবশ্যই কংগ্রেসকে কিছুটা চাপে ফেলে দিল। যদিও কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে সজ্জন কুমারের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাঁকে ভোটে লড়ার টিকিট দেয়নি দল।
অন্যদিকে সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন নিয়ে বিজেপি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। ঘটনার ৩৪ বছর পর এদিন শিখ বিরোধী হিংসায় সজ্জন কুমারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ হল। প্রসঙ্গত ১৯৮৪ সালের নভেম্বরের প্রথম ৪ দিনে দিল্লি সহ আশপাশের এলাকা মিলিয়ে ২ হাজার ৭৩৩ জন শিখ ধর্মাবলম্বীকে হত্যা করা হয়েছিল। তাঁদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছিল। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর তাঁর ব্যক্তিগত ২ শিখ ধর্মাবলম্বী সুরক্ষাকর্মীর হাতে খুন হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এই ঘটনার পরই শিখ ধর্মাবলম্বীদের ওপর নেমে আসে আক্রমণ।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)