SciTech

প্রাণহীন এ প্রান্তরে বিশাল পাথররা নিজের মত ঘুরে বেড়ায় এদিক ওদিক

পাথররা কি একাই ঘুরে বেড়াতে পারে। সেটাও কি সম্ভব। কিন্তু সেটাই তো সম্ভব হচ্ছে। আর তার জলজ্যান্ত প্রমাণও মিলেছে। পাথররা এখানে একাই ঘুরে বেড়ায়।

পাথর এমনিতেই ভারী জিনিস। হাওয়ার ধাক্কায় যে সে উড়ে যাবে এমনটা নয়। তায় আবার বিশাল বিশাল পাথর। যার ওজনও অনেক। যা মানুষও টেনে সরাতে পারবেনা। তবু এইসব বিশাল পাথররা ঘুরে বেড়ায়। ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ কেজির পাথররা দিব্যি নিজের খেয়ালে ঘুরে বেড়ায়। যেদিকে মন চায় চলে যায়। রেখে যায় মাটিতে ঘষটে যাওয়ার স্পষ্ট দাগ। তা আবার এই মৃত্যু প্রান্তরে থেকে যায়।

Death Valley National Park
ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে সেইলিং স্টোন, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

বছর ঘুরে গেলেও সেই পাথরের ঘষ্টানির দাগ মুছে যায়না। যেখানে একটা পাথরকে একবার কেউ দেখে এলেন। তিনি বছর খানেক পর গিয়ে সেখানে আর পাথরটিকে দেখতে পাবেন না। পাথর ততক্ষণে অন্যত্র বেড়াতে চলে গেছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কে সরায় এই পাথরকে? কেউই কিন্তু সরায় না। কারও পক্ষে সরানোর প্রশ্নই উঠছে না। কারণ এখানে কোনও মানুষ আসেন না। এখানে কোনও প্রাণি আসেনা। কারণ সব প্রাণিই নিজের প্রাণটি বাঁচাতে চায়। আর এ জায়গার নাম মৃত্যু উপত্যকা। যেখানে মৃত্যু পিছু তাড়া করে বেড়ায়। ক্যালিফোর্নিয়ার এই অঞ্চলে কেউ আসেনা।

Death Valley National Park
ডেথ ভ্যালি ন্যাশনাল পার্কে সেইলিং স্টোন, ছবি – সৌজন্যে – উইকিমিডিয়া কমনস

ডেথ ভ্যালির কথা বললে এখনও মানুষ সেদিকটা এড়িয়ে চলেন। এক সময় শুকনো উষ্ণ ধূধূ প্রান্তরের উপত্যকার ওপর দিয়ে কয়েকজন উল্টোদিকের সোনার খনি পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বেশি দূর এগোতে পারেননি।

তার মধ্যেই তাঁদের ১ জনের মৃত্যু হয়। প্রতিকূল আবহাওয়া তাঁদের ভগ্ন দেহে ফেরত যেতে বাধ্য করে। তারপর থেকেই এই পাণ্ডববর্জিত স্থানের নাম হয় মৃত্যু উপত্যকা।

এই পাথরের হেঁটে বেড়ানো ডেথ ভ্যালির এক অদ্ভুত এবং ভূতুড়ে কাণ্ড। ঠিক কি কারণে যে এখানে পাথররা নিজের মত হেঁটে বেড়ায় তা এখনও পরিস্কার নয়। তবে পাথরের যা ওজন তাতে তাকে নড়ানো প্রবল ঝড়ের পক্ষেও অসম্ভব। হাওয়া তো দূরের কথা।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *