একই দেহের অর্ধেক স্ত্রী, অর্ধেক পুরুষ, চেনা প্রাণির অচেনা রূপে হতবাক বিজ্ঞানীরা
এ এক নতুন আবিষ্কার। যা কার্যত নারী পুরুষের দৈহিক ভেদাভেদের চেনা নিয়মই বদলে দিল। এমন এক চেনা প্রাণির প্রকার সামনে এল যা অবাক করেছে বিজ্ঞানীদের।
একটি প্রাণির দেহে ২টি সত্ত্বা। একাধারে সে নারী এবং পুরুষ। অর্ধ নারী অর্ধ পুরুষ দেহটি আলাদা হয়েছে কেবল ২টি রংয়ে। আর কিছুটা আলাদা সামান্য বড় ছোটতে। এটি আসলে এক ধরনের মাকড়সা।
পৃথিবীর নানা প্রান্তে নানা ধরনের মাকড়সা দেখতে পাওয়া যায়। হালে থাইল্যান্ডে এমন এক নতুন প্রজাতির মাকড়সার দেখা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, যা তাঁদের প্রচলিত ধারনা বদলে দিয়েছে। অবাক করেছে সেই মাকড়সার দেহ।
যে দেহটি মাঝখান থেকে অর্ধেক অংশ পুরুষের, অর্ধেক নারীর। মাকড়সার বাঁ দিকের ভাগটি একটু বড়। উজ্জ্বল কমলা রংয়ের। এই অংশটি স্ত্রীর। সেখানে যে বৈশিষ্ট্যগুলি রয়েছে সেগুলিও স্ত্রী মাকড়সার।
ওই মাকড়সাটিরই ডান দিকটি আবার ধূসর রংয়ের। সেই অংশটি বাঁদিকের চেয়ে একটু ছোট। ওই অংশটি পুরুষের। একই অঙ্গে এই নারী ও পুরুষের অবস্থান ও সেইমত দৈহিক গঠন হতবাক করে দিয়েছে বিজ্ঞানীদের। তাঁরা এই মাকড়সার প্রজাতিটির নাম দিয়েছেন দামারকাস আইনাজুমা।
একই শরীরে স্ত্রী ও পুরুষের এই আজব অবস্থান এখন নতুন করে প্রকৃতির নারী পুরুষ ভেদ নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে বিজ্ঞানীদের। এমন কিছু আবিষ্কার হওয়া আগামী দিনে কোন নতুন পৃথিবীর দিকে ইঙ্গিত করছে তা বোঝার চেষ্টা করছেন তাঁরা। জুটাক্সা নামে একটি পত্রিকায় এই আজব মাকড়সা সম্বন্ধে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। ক্রমে এই খবর বিশ্বজুড়ে ছড়াতে সময় নেয়নি।













