World

বিরল সুযোগ, মানুষের পূর্বপুরুষের দেখা পেতে চলেছেন ইউরোপের মানুষ

এ এক বিরল সুযোগ। এই প্রথমবারের জন্য ইউরোপে সকলের সামনে আনা হচ্ছে মানুষের পূর্বপুরুষ বলে খ্যাত লুসিকে। এ মহাদেশের মানুষ এই প্রথমবার তাকে দেখবেন।

বর্তমানে আমরা যে মানুষ হিসাবে পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছি তা বহু বিবর্তনের ফল। মানুষ যে পৃথিবীর বুকে প্রথম থেকেই এমন চেহারার ছিল তা নয়। বহু বছর ধরে বদলেছে চেহারা। এক বিশেষ প্রজাতির প্রাণি ক্রমে বদলে যেতে যেতে বর্তমানের মানুষ হিসাবে সামনে এসেছে।

এই মনুষ্য জাতির পূর্বপুরুষ যে ৩১ লক্ষ ৮০ হাজার বছর আগেও ছিল তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল ইথিওপিয়ায়। ১৯৭৪ সালে ইথিওপিয়ায় একটি গবেষণা চালানোর সময় অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিস প্রজাতির মানব পূর্বপুরুষের জীবাশ্মের খোঁজ পান বিজ্ঞানীরা।

অনেক হাড়ের নমুনা পাওয়া গেলেও একটি জীবাশ্ম প্রায় সম্পূর্ণ ছিল। একেবারে মাথা থেকে পা পর্যন্ত হাড় পরিস্কার। বিজ্ঞানীদের কাছে এটা ছিল খুব বড় পাওনা।


তাঁরা জীবাশ্মটি সংরক্ষিত করেন। নাম দেন লুসি। মানবজাতির পূর্বপুরুষ বলে খ্যাত হয় এই লুসি। লুসিকে সংরক্ষিত করা হয় ইথিওপিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামে। তারপর থেকে সেখানেই ছিল সেটি।

লুসি সেখান থেকে বেরিয়ে একবারই বাইরে গেছিল। লুসিকে মার্কিন মুলুকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাছাড়া আর কখনও লুসির জীবাশ্ম ইথিওপিয়ার বাইরে যায়নি। এবার প্রথম সেটি ইউরোপে প্রদর্শিত হতে চলেছে।

চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী শহর প্রাগ-এ অবস্থিত চেক ন্যাশনাল মিউজিয়ামে সেটি প্রদর্শিত হতে চলেছে। ফলে ইউরোপের মানুষ এই প্রথম লুসিকে দেখার সুযোগ পেতে চলেছেন। মানুষের পূর্বপুরুষের দর্শন পেতে চলেছেন তাঁরা। এটাকে একটা বড় পাওনা হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *